ভালাইপুর প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার গাংনী ইউপি নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়েত ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতা বাড়ছে। হামলা পালটা হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে এলাকায়। গতরাত ৮টার দিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নৌকা প্রতীক সমর্থিত ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, গতরাত ৮টার দিকে নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী রকিবুল ইসলামের সমর্থিত শালিকা গ্রামের সাহাবুল ইসলামের ছেলে মিলন, আশাদুল ইসলামের ছেলে তোতা, আরশেদ আলীর ছেলে রশিদ ও আরশেদ আলীর ছেলে আশাদুলের সাথে, একই গ্রামের জামাত ইসলামী সমর্থিত ওমর আলীর ছেলে নাজমুল, একুব্বারের ছেলে হাসিন ও সুজার ছেলে রানার। উভয় দলই পরাজত হওয়ায় একে অপরকে দোষারোপ করে এবং উভয়ই ফুঁসে ওঠে। একপর্যায়ে জামায়েত ইসলামীর সমর্থকরা রামদা ও লাঠিদিয়ে পিটিয়ে সাহাবুল ইসলামের ছেলে মিলন, আশাদুল ইসলামের ছেলে তোতা, আরশেদ আলীর ছেলে রশিদ ও আরশেদ আলীর ছেলে আশাদুলকে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানিয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায় বলে জানা গেছে। এদিকে গত ৭ মে নির্বাচনের পর থেকেই পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা একে অপরের কারণে পরাজিত কয়েছে দোষারোফ করে হামলা পালটা হামলার ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) মেহেদী রাসেল, আসমানখালী বাজারে গত ৯ মে উভয় প্রার্থীদের সাথে বসে আলোচনা করেন এবং সহিংসতা বন্ধের পরামর্শদেন। বন্ধ না হয়ে উভয়য়েরই মামলা করার পরামর্শ দেন এবং বলেন আপনারা মামলা করলে পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানান। তার পরেও সহিংসতা থেমে নেই বলে জানিয়েছেন সচেতন এলাকাসাসী।