ঝিনাইদহের ডিসি অফিসের উপসহকারী কর-কমিশনারকে কিল-ঘুষি মেরে লাঞ্ছিত করলেন বাজারগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের এক কনস্টেবল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের বাজারগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের কনস্টেবল আপন হোসেনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ ডিসি অফিসের উপসহকারী কর-কমিশনার (সহকারী নায়েব) শফি উদ্দিনকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং কিল-ঘুষি মেরে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার বিকেল ৫টায় বাজারগোপালপুর মোটরসাইকেল গ্যারেজের নিকট এই ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি বাজারগোপালপুর ক্যাম্প পুলিশের সাথে মাঝে মধ্যেই অপ্রীতিকর ঘটনায় চরম ক্ষোভ এবং আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল মোমিনের ছেলে শফি উদ্দিন ঝিনাইদহ ডিসি অফিসের উপসহকারী কর-কমিশনারের (সহকারী নায়েব) পদে চাকরি করেন। গত শনিবার ছিলো বাজারগোপালপুরের সাপ্তাহিক বাজারের দিন। বিকেল ৫টায় বাজারের যাত্রীছাউনির নিকট মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন আহত হলে উপস্থিত লোকজনের কারণে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সে সময় বাজারগোপালপুর ক্যাম্প পুলিশের কনস্টেবল আপন হোসেন রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল হাকিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ঝিনাইদহ ডিসি অফিসের উপসহকারী কর-কমিশনার (সহকারী নায়েব) শফি উদ্দিন তার সামনে পড়েন। সে সময় কনস্টেবল শফি উদ্দিনকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করতে থাকেন। শফি উদ্দিন তাকে মুখের ভাষা ও ব্যবহার সংযত করতে বলেন। কনস্টেবল আপন হোসেন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মোটরসাইকেল রাস্তার ওপর রেখে তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। জনগণ উত্তেজিত হয়ে উঠলে তিনি দ্রুত ক্যাম্পের ভেতর চলে যান এবং তৎক্ষণাৎ ক্যাম্পের এএসআই উত্তম কুমার, শফি উদ্দিনকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিত জনগণের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অবস্থা বেগতি দেখে এএসআই দ্রুত পল্লি চিকিৎসক অলিয়ার রহমানের দোকানে অবস্থান নেন। তিনি তার ভুল বুঝতে পারেন এবং সকলের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু থেকে যায় কনস্টেবল আপন হোসেন এবং নায়েব শফি উদ্দিনের মাঝে বিরোধ। শফি উদ্দিন তার অফিসের কর্মকর্তাকে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে চলতে থাকেন আপস মীমাংসার চেষ্টা। অবশেষে সন্ধ্যা ৮টার দিকে চিকিৎসক অলিয়ার রহমানের দোকানের সামনে অলিয়ার রহমান এবং ক্যাম্পের এএসআই উত্তম কুমারের সমন্বয়ে উপস্থিত লোকজনের সামনে কনস্টেবল আপন হোসেন তার নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন বলে জানিয়েছে উপস্থিত জনতা।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাকে অবগত করেনি। পুলিশের পক্ষ থেকেও জানানো হয়নি। তবে খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।