চুয়াডাঙ্গায় ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে মোটরযান নিবন্ধনের টাকা জমা হচ্ছে না : চরম ভোগান্তি : কর্তৃপক্ষ উদাসীন

 

স্টাফ রিপোটার: চুয়াডাঙ্গায় ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে মোটরযান নিবন্ধনের টাকা জমা হচ্ছে না। টাকা চুয়াডাঙ্গায় জমা না হওয়ায় মোটারযান মালিকগণ যেমন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তেমনি দারুণ সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে অনেকেই বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন।

একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেছে, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের ১৭ তারিখ থেকে চুয়াডাঙ্গায় মোটরযান নিবন্ধনের টাকা জমা বন্ধ আছে। সে হিসেবে ৬ মাস ২৮ দিন চুয়াডাঙ্গাসহ আশাপাশ এলাকার গ্রাহকরা নিবন্ধনসহ রোড পারমিট, শিক্ষানবীশ লাইসেন্সসহ কোনো টাকা জমা করতে পারছেন না। চুয়াডাঙ্গা ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকে নিবন্ধনের টাকা জমা হতো। এ ব্যাপারে ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, আমাদের সাথে বিআরটিএ’র চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই আমরা টাকা জমা নিতে পারছি না। এদিকে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ  টাকা জমা নেয়ার জন্য কোনো ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেনি বা করার এখতিয়ার নেই। তবে বিআরটিএর কেন্দ্রীয় কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিসটেম (সিএনএস) বিভাগ সারা বাংলাদেশের মোটরযান সংক্রান্ত টাকা জমা নেয়ার জন্য ১২টি ব্যাংকের সাথে টাকা জমার চুক্তি করেছিলো। সে ১২টি ব্যাংকের কোনো শাখা বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় নেই। তবে আশার কথা হলো বিআরটিএর কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ চুয়াডাঙ্গায় টাকা জমা নেয়ার জন্য একটি বুথ প্রস্তুতের নির্দেশ প্রদান করেছিলো। সে নির্দেশ মোতাবেক চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের আন্তরিকতায় ডিসি কোর্টের ট্রেজারি শাখার পাশেই বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। টাকা জমা করার জন্য নেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনও। যেকোনো দিন চুয়াডাঙ্গায় টাকা জমা হওয়ার নির্দেশ আসতে পারে।

কবে নাগাদ টাকা জমা হবে এ খবর নিশ্চিত করার জন্য চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আশফাকুর রহমানের সহযোগিতায় টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানের সাথে। একাধিকবার ফোন করার পর চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ মেলেনি। তবে ওই বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, স্যার মিটিঙে আছেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিসটেম (সিএনএস’র) মি. রেহান নামের কর্মকর্তাকে মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার বিক্ষুদ্ধ মোটরযান মালিকগণ বলেন, আমরা কোন কিছু জানতে চাইনা বুঝতে চাই না। এ মাসের মধ্যেই যেন চুয়াডাঙ্গায় মোটরযানের টাকা জমা করা যায় সে ব্যবস্থা করতে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। টাকা জমা করার ব্যবস্থা নেই অথচ দালাল, পুলিশ ও সার্জেন্টদের কাছে সেলামিসহ জরিমানা গুনতে হবে এটি মেনে নেয়া যাবে না।