আলমডাঙ্গার চিলাভালকী-বেগুয়ারখালীর রাস্তা পাকাকরণ কাজে খোয়ার বদলে ঝামা দেয়ার অভিযোগ : কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী

 

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়নের চিলাভালকী-বেগুয়ারখালীর কাচাঁ রাস্তা পাকাকরণে ব্যপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ৫ শ ৭৫ মিটার রাস্তার কাজে ইটের খোয়ার বদলে ঝামা পিকেট ও আমা পোড়া মাটি দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর দাবি আমা পোড়া মাটি ও ঝামা পিকেট খোয়া দিয়ে কাজ করতে দেয়া হবে না। অপরদিকে দুয়েকদিনের মধ্যে ঝামা খোয়া তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এলজিইডি কর্মকর্তা।

গ্রামসূত্রে জানা গেছে, ৩ মাস আগে এলজিডি প্রকল্পের আওতায় আলমডাঙ্গা নাগদাহ চিলাভালকী-বেগুয়ারখালীর ৫ শ ৭৫ মিটার কাচাঁ রাস্তা পাকাকরণ কাজ পায় চুয়াডাঙ্গার সোনালী কন্সট্রাকশন নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত সোমবার ট্র্যাক্টরযোগে ওই রাস্তায় ইটের খোয়ার বদলে ঝামা পিকেট খোয়া ও আমা ইট (পোড়ামাটি) ফেলা শুরু করে। রাস্তা নির্মাণকাজে এহেন দুর্নীতি এলাকাবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রাস্তা পাকাকরণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

এ ব্যাপারে চিলাভালকী গ্রামের শুকুর আলীসহ অন্যান্য গ্রামবাসীরা জানায়, কাজের শুরু থেকেই শুরু হয় অনিয়ম। বেশকয়েকবার অভিযোগও তোলে তারা। কিন্তু ঠিকাদার তসলিম উদ্দিন মোবাইলফোনে তাদেরকে চাঁদাবাজ বলে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। রাস্তায় দেয়া পোড়া মাটি আর ঝামা পিকেট খোয়া সরিয়ে নেয়া না হলে রাস্তার কাজ আর করতে দেবে না বলে জানায় গ্রামবাসীরা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সোনালী কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার মনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলেননি।

চুয়াডাঙ্গা এলজিইডির কার্য সহকারী সারোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ৩ দিন আগে রাস্তায় ঝামা খোয়া আমা ইট দেখে আমি ইঞ্জিয়ারকে জানিয়েছি। তবে খুব দ্রুত ব্যবহারের অযোগ্য ঝামা খোয়া ও আমা ইটের খোয়া সরিয়ে নেয়া হবে।