রেজগি সমস্যা সমাধানে ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা নেই : আন্দোলনের হুমকি

 

দর্শনা অফিস: টাকায় এক মন চাল এ যেন বর্তমান প্রজন্মের কাছে গল্প। বর্তমান অবস্থার কথা ভাবলে তা গল্পই মনে হয়। সে সময় এক পয়সায় কেনা যেতো নানা রকমের পণ্য। যে কারণে রেজগি পয়সার ছিলো খুব কদর। যুগের সাথে সাথে পাল্টাচ্ছে অনেক কিছু। সময়ের সাথে লড়াই করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ ও প্রযুক্তি। কয়েক বছর আগেও ৫, ১০, ২৫ এবং ৫০ পয়সার কদর থাকলেও আজ তা বিলুপ্ত প্রায়। পরপরই চাহিদা বাড়লো ১, ২ ও ৫ টাকার নোট ও কয়েনের। অল্পদিনের ব্যবধানে তা অচলবস্থায় পরিণত হয়েছে। দর্শনাসহ আশপাশ এলাকার ব্যবসায়ীরা খুচরা টাকা ও রেজগি পয়সা নিয়ে চরম সমস্যার মোকাবেলা করছে। ছোট-খাট দোকানগুলোতে বিকিকিনির ক্ষেত্রে খুচরা পয়সা ও টাকার প্রয়োজন থাকলেও মহাজন ও ব্যাংকগুলোতে এ টাকার কোনো প্রয়োজনীয়তা লক্ষ্যে করা যায় না। যে কারণে অনেক ছোট-খাট ব্যবসায়ীর কাছে জমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খুচরা টাকা-পয়সা। সম্প্রতি ছোট-খাট ব্যবসায়ীদের অনেকেই খুচরা টাকা-পয়সা নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়তে হয়েছে হতদরিদ্র মানুষগুলো। কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রচুর পরিমাণে খুচরা টাকা-পয়সা জমেছে, কিন্তু মহাজন ও ব্যাংকে এ টাকা নিচ্ছে না। দর্শনা রেল বাজার ও পুরাতন বাজারের কয়েকজন পাইকারি মুদি ব্যবসায়ী ও বেকারি মালিকের কাছে জানতে চাইলে, তারা বলেন, খুচরা টাকা-পয়সা এতো পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে যা গোনা সম্ভব না। ওই টাকা-পয়সা গুণতে অতিরিক্তি সময়ের প্রয়োজন। এদিকে খুচরা পয়সা ভিক্ষা পর্যন্ত নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভিক্ষুকরা। দিনদিন প্রচুর পরিমাণ খুচরা টাকা ও পয়সা নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছে ব্যবসায়ীরা। দর্শনায় ৩টি ব্যাংক থাকলেও কোনো ব্যাংকেই এ টাকা নিচ্ছে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ব্যাংকগুলোকে খুচরা পয়সা নেয়ার তাগিদ দেয়া হলেও কোনো সুফল হয়নি। এদিকে খুচরা পয়সা শতকরা ৩০ টাকা কমিশনে কিনছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। অনেকেই গলার কাটা সরাতেই ৩০ টাকা কমেই দিচ্ছে খুচরা পয়সা। প্রশ্ন উঠেছে, যারা কমিশনে এ খুচরা পয়সা কিনছে, তারা কোথায় দিচ্ছে এ পয়সা? তবে কি এ ধান্দার সাথে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জড়িত? তিনটি ব্যাংকের মধ্যে কোনো ব্যাংকেই এ টাকা জমা না নেয়ায় ব্যবসায়ীদের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনটি ব্যাংকের কর্তাদের আবারো দৃস্টি আকর্ষন করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।