মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কমিটির বেশির ভাগ সদস্য। তারা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন। তবে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তিনি মনে করেন, সরকার বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এসব করাচ্ছে। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

তবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন দুজন নেতা জানান, বৈঠকে মূল আলোচনা ছিলো মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে। খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য ছাড়া অন্য আটজন এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেছেন, প্রতিনিয়ত পত্রপত্রিকায় মনোনয়ন বাণিজ্য এবং বিএনপির গুলশান ও নয়াপল্টন কার্যালয় সংশ্লিষ্ট কিছুসংখ্যক নেতা ও কর্মকর্তাকে নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। এক নেতার ব্যাংক হিসাবের টাকা নিয়েও পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। এর ফলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দলে এক ধরনের ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে। এসব নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সূত্র জানায়, জবাবে খালেদা জিয়া তদন্ত করার বিষয়ে সরাসরি কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তবে তিনি বলেছেন, তার ধারণা সরকার এসব করাচ্ছে। স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, বিএনপির কেউ জড়িত না থাকলে বা সুযোগ না দিলে সরকার এসব করানোর সুযোগ পেত না।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে প্রয়োজন মনে করলে চেয়ারপারসন নিজেই ইউপি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেবেন।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, জমির উদ্দীন সরকার, আবদুল মঈন খান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।