বিয়ের দাবিতে প্রেমিক ইজাজুলের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান

 

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার বড়দুধপাতিলা গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টানা ২ বছর দেহভোগ করেছে প্রতারক প্রেমিক ইজাজুল। বিয়ের প্রস্তাবে বেঁকে বসেছে ইজাজুলের পরিবার। বিয়ের দাবিতে প্রেমিক ইজাজুলের বাড়িতে ঠাই নিয়েছে প্রেমিকা। দফায় দফায় আপস বৈঠক। প্রভাবশালী ইজাজুলের পরিবারের পক্ষ থেকেও করা হচ্ছে প্রতারণা। দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের বড়দুধপাতিলা ইটভাটাপাড়ার রাজ্জাকের মেয়ে হামিদার সাথে একই পাড়ার মোমিনের ছেলে ইজাজুলের প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে বছর পাঁচেক আগে।

হামিদার অভিযোগে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে বছর দুয়েক ধরে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে দৌহিক সম্পর্ক শুরু করে ইজাজুল। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রতিবেশী আক্কাসের নির্জন বাড়িতে হামিদার সাথে দৌহিক সম্পর্কে মিলিত হওয়ার সময় বেরশিক জনতা টের পেয়ে যায়। এ সময় কৌশল প্রতারক ইজাজুল পালিয়ে যায়। ওই দিনই ইজাজুলের কথা মতো হামিদা বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। ইজাজুলের বাবা-মা ও ভাই হামিদাকে বেধড়কভাবে পিটালেও বাড়ি ছাড়েনি। অবশেষে গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে হামিদার পরিবারের সদস্যরা দামুড়হুদা থানায় গেলেও কোনো সুফল হয়নি। ফলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ লাইন থেকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে হামিদার পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে আনে একই গ্রামের কথিত মাতব্বর পুটু, আলমগীর, আজিজ ও মোমিন। দুপুরে গ্রামেই বসানো হয় সালিশসভা। সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ইজাজুল ও হামিদার বিয়ে। এ সিদ্ধান্তের মধ্যে আরো রয়েছে, ৭০ হাজার টাকা যৌতুক ও বিয়ের যাবতীয় খরচা হামিদার বাবা আ. রাজ্জাককেই বহন করতে হবে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে অসহায় বাবা কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে তাতেই রাজি হন। সন্ধ্যায় বিয়ের হবে বলে আ. রাজ্জাক ধার-দেনা করে টাকা জোগাড় করে বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফিরে জানতে পারেন ইজাজুলকে কৌশলে সরিয়ে দিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা। এ কথায় যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পরে দরিদ্র পিতা রাজ্জাকের। গ্রামবাসির অভিযোগ, গ্রামের কথিত ওই ৪ মাতব্বরকে ম্যানেজ করেই ইজাজুলকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ইজাজুল ও তার পরিবারের সদস্যসহ ৪ মাতব্বরকে গ্রেফতারের জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। সেই সাথে মানবধিকার সংস্থার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে হামিদা ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে।