বিকলাঙ্গ শিশু পেলো স্বাভাবিক জীবন

??????????????

 

স্টাফ রিপোর্টার: ভূমিষ্ঠের সময় আঘাত জনিত কারণে যার জীবনটাই হয়ে উঠেছিলো বিকলাঙ্গ-পঙ্গুত্বের অভিশপ্ত, সেই শিশু তোতা মিয়া ৮ বছরের মাথায় ফিরে পেয়েছে স্বাভাবিক জীবন। কীভাবে? তার শরীরে অস্ত্রোপচার করে। আর এই গবেষণালব্ধ অস্ত্রোপচার করেছেন যে চিকিৎসক তিনি চুয়াডাঙ্গারই কৃর্তী সন্তান প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদী। এটা তার চিকিৎসা বিজ্ঞানে আরো একটি সাফল্য।

সংশ্লিষ্টসূত্র জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ছুটিপুরের মিজানুর রহমানের স্ত্রী বাবলী খাতুন আনুমানিক ৮ বছর আগে পুত্র সন্তান প্রসব করেন। তার নাম রাখা হয় তোতা মিয়া। বেড়ে ওঠার সাথে সাথে পরলক্ষিত হয় তার পঙ্গুত্বের বিষয়টি।  দু পায়ে ভর করে দাঁড়াতে পারে না। শুরু হয় চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার যুদ্ধ। কখনো ওঁঝা কবিরাজ, কখনো দেশ বিদেশের বড় বড় বদ্যি। পশ্চিমঙ্গে নিয়েও চিকিৎসা দেয়া হয় তার। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, তোতা মিয়ার যখন ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় হয়, তখন গর্ভ থেকে ডাম্প নিয়ে মাতৃগর্ভে আটকে যায়। অদক্ষ দায়মার টানাটানির কারণে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর ক্ষতি হয়ে যায়। সে কারণেই তার জীবনে নেমে আসে পঙ্গুত্বের অভিশাপ। জন্মই যেনো আজন্ম পাপ হয়ে দাঁড়ায়। তোতা মিয়াকে নিয়ে এখানে ওখানে ঘুরতে গিয়ে বয়স পৌঁছায় আটের কোঠায়। অবশেষে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদীর বিজ্ঞাপন দেখেই তোতাকে তার পিতা নেন হাসপাতাল সড়কের বনলতা ভবনের নিচতলার চেম্বারে।

তোতা মিয়াকে সুস্থ করে তোলার বিষয়ে প্রফেসর ড.মাহাবুব হোসেন মেহেদী বলেন, তোতা মিয়াকে সুস্থ করে তোলার বিষয়টি সত্যিই অভাবনীয়। মহান সৃষ্টি কর্তার অশেষ রহমত। একদিকে দৈনতা, অপরদিকে জটিল সমস্যা। এরপরও সবকিছু শুনে বুজে নামমাত্র খরচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গবেষণা করে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঢাকার প্লাজমা মেডিকেল সেন্টার ও রিচার্স ইনস্টিটিউটে নিয়ে টানা ৮ ঘণ্টা ধরে অপারেশন করা হয়। এরপর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায় তোতা মিয়া। সকল প্রশংসা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর। ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী চিকিৎসা বিজ্ঞানের এ সফলতা তার পিতা চুয়াডাঙ্গা তালতলার মরহুম মোরাদ হোসেন ও মাতা হাজেরা মোরদকে উৎসর্গ করেছেন।