নৃত্যানুষ্ঠান ‘ধ্বনিঝঙ্কার’ অনুষ্ঠিত

 

 

নাচের মধ্য দিয়ে ওঠে আসে গল্প, ইতিহাসের কথা। কখনোবা সমাজ, সংস্কৃতি। যা জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব বয়সী মানুষকে সমানভাগে আকুল করে।

মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আন্তর্জতাকি নৃত্য দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে নৃত্যানুষ্ঠান ‘ধ্বনিঝঙ্কার’।

জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কত্থক, ভরতনাট্যম ও মণিপুরী নৃত্য ‘কৃষ্ণ অভিসার’ পরিবেশন করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা। এছাড়া রবীন্দ্র নৃত্য, কাজী নজরুল ইসলামের গান নিয়ে নৃত্য এবং সৃজনশীল নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

পঞ্চদশ শতাব্দীতে কত্থকৃ নৃত্যে রাধা কৃষ্ণের কাহিনী প্রদর্শন হতো। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তা উচ্চাঙ্গ নৃত্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। কত্থক নৃত্যে উপস্থাপিত হয় ঠাট, আমদ, তোড়া, টুকরো, পরন এবং তৎকার। এ বিষয়গুলো তুলে ধরে একক কত্থক নৃত্য পরিবেশন করে জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিশু শিল্পী তন্ময় লস্কর তুর্য ও অনামিকা দেবনাথ। ভাব-রাগ-তালের সংমিশ্রনে সৃষ্টি শাস্ত্রীয় নৃত্য ভরতনাট্যম পরিবেশন করে অর্পিতা দেব ও তামান্না রহমান তন্দ্রা। ভক্তিরসে ভরা মণিপুরী নৃত্য ‘কৃষ্ণ অভিসার’ পরিবেশন করে অহনা শর্মা। রবীন্দ্র নৃত্য পরিবেশন করে দেলোয়ার হোসেন দুর্জয়,  সুব্রত সাহা এবং আয়েশা আহমেদ। মিশ্র কম্পোজিশনে সৃজনশীল নৃত্য পরিবেশন করে দ্বীপ দত্ত আকাশ।

রাধাকৃষ্ণের প্রেম-বিরহ, মান-অভিমান কাহিনী ও নৃত্যের মধ্য দিয়ে জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলনভাব প্রকাশ করে রাসলীলা ও মণিপুরী নৃত্য পরিবেশন করে কেয়া সিনহা।

জ্যোতি সিনহা ও নাজিয়া চৌধুরী টুনির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক মিন্টু।