দেশে গুপ্তহত্যার জন্য বিএনপি-জামায়াত দায়ী : প্রধানমন্ত্রী

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করে সরকার পতনে ব্যর্থ হয়ে এখন তারা গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে। তারা বেছে বেছে মানুষ হত্যা করছে। শনিবার গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এ দাবি করেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়ন চায় না। হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংস ছাড়া তারা আর কিছু পারে না। আর আওয়ামী লীগ জাতির পিতার নেতৃত্বে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের কাজ আমরা করে যাচ্ছি।  বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়। আমি বলব, এটা বিস্ময় নয়, এটা বিশ্বাস। জনগণের প্রতি বিশ্বাস, আস্থা আছে। আর জনগণেরও আমার প্রতি বিশ্বাস-আস্থা আছে। যে কারণে আজকে এই কাজগুলো আমরা এত দ্রুত করতে পারছি। আন্তরিকতা ও ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করি। কারণ আমি তো সব হারিয়েছি। আমার তো হারাবার কিছু নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা। দুর্নীতি করে ভাগ্য গড়তে আসিনি। এ দেশের মানুষের জন্য আমার পিতা জীবন দিয়ে গেছেন। আমার মা জীবন দিয়ে গেছেন। আমার ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছেন। ১০ বছরের শিশু রাসেল পর্যন্ত রেহাই পায়নি। যে দেশের মানুষের জন্য এত বড় ত্যাগ আমার পিতা স্বীকার করে গেছেন, সেই ভাগ্যহারা মানুষ, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করা এটাই আমার রাজনীতির লক্ষ্য। জাতির পিতা দেশের উন্নয়নের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পূরণ করতে পারেননি। ৭৫-এ তাকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়। এরপর স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় আসে। দেশের উন্নয়নের জন্য এরা কোনো কাজ করেনি। শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের জন্য আমরা কাজ করি। সেখানে নিজেরা অর্থ সম্পদ বানাবার জন্য আমরা কাজ করি না। কিন্তু সেই বদনাম আমাদের দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তা পারেনি।

দেশের দক্ষিণাঞ্চল সবসময় অবহেলিত ছিলো মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের প্রতিটি ক্ষেত্রে আরো ব্যাপক উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ সময় বর্তমান সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গীপাড়া পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি ১০টা ৫০ মিনিটে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে তিনি গোপালগঞ্জের মধুমতি নদীর ওপর দৃষ্টি নন্দন চাঁপাইল ব্রিজ উদ্বোধন করেন। এছাড়া উদ্বোধন করেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, টুঙ্গীপাড়া প্রধান ডাকঘর, গোপালগঞ্জ জেলা শিশু একাডেমি কমপ্লেক্স, জাতীয় মহিলা সংস্থার ভবন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১০ কিলো-ওয়াট এফএম রেডিও স্টেশন, টুঙ্গীপাড়া ও মুকসুদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এবং কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ (গোবরা) নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।