টাঙ্গাইলে হিন্দু দর্জি হত্যায় আইএসের দায় স্বীকার

 

 

 

দিনদুপুরে দোকান থেকে বের করে কুপিয়ে পালিয়ে যায় মোটরসাইকেলে আসা তিন খুনি

স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলে মহানবীকে (সা.) নিয়ে মন্তব্যের জন্য জেল খেটে আসা হিন্দু দরজি হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের দায়িত্ব স্বীকারের বার্তা আসার খবর এসেছে।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার গতকাল শনিবার দুপুরে এই হত্যাকাণ্ডের পর সন্ধ্যায় সাইট ইন্টিলিজিন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে এই খবর দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘আমাক নিউজ এজেন্সি’র মাধ্যমে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় হিন্দু দরজিকে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। গোপালপুর উপজেলার ডুবাইল কালিবাড়ি বাজারে দুপুরে নিজের দোকানের সামনে নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার (৫০)  নামে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয় বলে টাঙ্গাইল পুলিশ জানিয়েছে। ডুবাইল গ্রামের নলিনীকান্ত জোয়ারদারের ছেলে নিখিলের একটি দোকান আছে কালিবাড়ি বাজারে। হজরত মোহাম্মদ (সাঃ)কে কটূক্তি করার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি নিখিলকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। পরে তার বিরুদ্ধে গোপালপুর থানায় একটি মামলাও হয়। ওই মামলায় নিখিল ৩ মাস কারাগারে ছিলেন বলে জানান গোপালপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল জলিল। ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট থেকে শুরু করে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং সমকামী অধিকারকর্মীদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছিলো, সেভাবেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা জলিল বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কালিবাড়ি বাজারে নিজের দোকানের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন নিখিল। একটি মোটরসাইকেল ৩ যুবক নিখিলের দোকানে আসে। পরে কথা বলার জন্য দোকান থেকে রাস্তার পাশে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডস্থলে একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। তবে তার ভেতরে কী রয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। নিজের দরজি দোকানের সামনে নিখিলকে কারা হত্যা করেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। গত এক বছর ধরে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডে বেশ কয়েকবারই হামলাকারীদের মোটরসাইকেলে আসতে এবং চাপাতি দিয়ে খুন করে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশে এসব হত্যাকাণ্ডের পর আল কায়দা ও আইএসের নামে যেসব বার্তা এসেছিলো, তার কয়েকটিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঘটনায়ও দায় স্বীকার করতে দেখা গেছে। তবে আইএস  ও আল কায়দার দায় স্বীকারের এসব বার্তা উড়িয়ে দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে, দেশীয় জঙ্গিরাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর নাম দিয়ে ইন্টারনেটে বার্তা ছাড়ছে।