পাবনার চাটমোহরে বিজিবির গুলিতে নিহত ১ : আহত ১০ জন

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে কয়েকটি বিছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার: ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, কেন্দ্র দখল, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা এবং বিপুলসংখ্যক প্রার্থীর নির্বাচন বর্জনের মধ্যদিয়ে শনিবার তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শেষ হয়েছে। পাবনার চাটমোহরের মাথুরাপুর ইউনিয়নে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ত্রিমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির গুলিতে একজন নিহত এবং অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
ভোটকেন্দ্রিক সংঘাত-সহিংসতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সাধারণ ভোটার ও প্রার্থীসহ অর্ধসহস্রাধিক মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেক স্থানে পুলিশ গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। এতেও পরিস্থিতি বাগে না আসায়নির্বাচন কমিশন (ইসি) অনেক কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে।

জালভোট দানে বাধা দেয়ায় বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ইসি কর্মকর্তাকে বেধড়ক পেটানোর খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ভোট কারচুপিতে সহযোগিতা করায় প্রিসাইডিং অফিসারসহ বেশ কজন নির্বাচন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন। সংঘর্ষের অধিকাংশ ঘটনাই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও শাসক দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রথম দুই ধাপের তুলনায় এবার নির্বাচন অনেক সুষ্ঠু হয়েছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গার ভোটারদের, বিশেষ করে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো ব্যাপক। ভোট গ্রহণের আগের রাতে কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে ছিলো। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৬৪ জনকে চার লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সিইসি জানান, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ৬ হাজার ৭৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি কমিশনও নিজস্ব উদ্যোগে কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করেছে। দুটি কেন্দ্রে পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে দুজন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।