Untitled

মেহেরপুর সদরের ৪ ইউপিতে নির্বাচন আজ : কারা হাসবেন শেষ হাঁসি?

মেহেরপুর অফিস: আজ শনিবার মেহেরপুর সদর উপজেলার ৪ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। প্রচার প্রচারণা শেষ এখন শুধু অপেক্ষার পালা। কে পরবে জয়ের মালা? ২ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকলেও বিএনপির কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকায় সুবিধাজনক স্থানে আছেন তারা। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বিএনপির দলীয় প্রার্থীদের অভিযোগ প্রতিনিয়তই ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোসহ ভোট কেন্দ্র দখলের পায়তারা করছেন সরকার দলীয় প্রার্থীরা। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা।

প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন- সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২১ এপ্রিল রাত থেকে শেষ হয়েছে তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাস্তা ঘাট সবখানেই একটিই আলোচনা কে পরবেন জয়ের মালা। নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের তেমন কোনো অভিযোগ না থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও বিএনপির দলীয় প্রার্থীরা। তবে সরকার দলীয় প্রার্থীরা বলছেন নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে তারা অপপ্রচার করছেন। নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য এ ধরনের অভিযোগ করছেন তারা। ৪ ইউনিয়নে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করবেন। ৫৯ কেন্দ্রে ৪২০ বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৪০ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নত করা হয়েছে। প্রার্থীরা বলছেন- নির্বাচিত হলে তারা এলাকার উন্নয়ন, রাস্ত-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। এছাড়াও চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী দূর করাসহ মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন তারা।

আমঝুপি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বোরহান উদ্দীন আহমেদ চুন্নু  (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম (ধানের শীষ) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রাহী প্রার্থী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা (আনারস) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আফসার হোসেন (চশমা), মতিউর রহমান (ঘোড়া) ও শফিকুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে ভোটাররা বলছেন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে।

পিরোজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শামসুল আলম (ধানের শীষ) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সালেহ আল আজিজ টনিক (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এখানেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মাঝে বলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন। কুতুবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মাস্টার (নৌকা), বিএপির প্রার্থী শহিদুল আলম (ধানের শীষ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ্জামান (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী অ্যাড. এএসএম সাইদুর রাজ্জাক সাদ্দাম (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াত নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মুকুল (চশমা) নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এখানে ত্রিমূখী লড়াই হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এছাড়াও ৪ ইউনিয়নে সদস্য পদে ১৩৪ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলার আমদাহ ইউনিয়ন পরিষদের সাথে পৌর সভার সীমানা জটিলতার মামলা থাকায় এবার নির্বাচন হচ্ছে না। ।

ভোটারদের দাবি সুষ্ঠু ও উৎসব মূখর পরিবেশে তারা যেন সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে তাদের ভোটটি প্রদান করতে পারেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা কবিরউদ্দীন জানান- নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালট পেপার ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স পৌঁছে গেছে। এছাড়ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহীনির পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে দুজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য একটি মোবাইল টিম, স্ট্রায়কিং ফোর্স, র‌্যাব-বিজিবির পাশপাশি সাদা পোশাকে কাজ করছে পুলিশ।