গরমে একটু স্বস্তি পেতে ফুটপাতের ক্ষতিকর সুস্বাদু পানীয় পান করছে মানুষ

জহির রায়হান সোহাগ: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে আবারও তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। দাবদাহের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই এলাকার জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। গতকাল শুক্রবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ভ্যাপসা গরমে একের পর এক মানুষ অসুস্থ হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। বেলা ১১টার পর রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থাকলেও এখনও এক ফোঁটা বৃষ্টির দেখা মেলেনি।

এদিকে ভ্যাপসা গরমে একটু স্বস্তি পেতে ফুটপাতের পাশে ফেরি করা ডাবের পানি, বিভিন্ন সুস্বাদু ঠাণ্ডা শরবতসহ ফ্রিজে থাকা কোমলপানীয় পান করে ক্ষণিকের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষ। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে সুস্বাদু শরবত পানকালে দামুড়হুদা উপজেলার দলিয়ারপুরের আব্দুর রহমান জানান, এই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে একটু স্বস্তি পেতেই ফুটপাতের ঠাণ্ডা শরবতসহ ফ্রিজের কোমলপানীয় পান করছি। কিন্তু ফুটপাতের ফেরি করা ওই সুস্বাদু শরবত শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদ রানা। তিনি আরও জানান, ওই গরমে বাইরের পানিজাতীয় কোনো কিছু পান না করে টিউবওয়েলের পানি পান করতে হবে। তাছাড়া ওই গরমে ঘামের ফলে শরীর থেকে লবণ বের হয়ে যায়। তাই নিয়মিত খাবার স্যালাইন খেলে ওই লবণের ঘাটতি পূরণ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষাসহ কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। তীব্র খরা আর ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুত ও পানি ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার চাহিদাও বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে বিদ্যুত চাহিদামতো দিতে হিমশিম খেলেও পানির চাহিদা পূরণে গত বুধবার রাত থেকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা বাড়তি পানি সরবরাহ শুরু করেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জাহেদুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গা ও এর আশপাশের এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।