দেশের টুকিটাকি : পায়ে শিকল-তালা : শিশুর বাবা ও মাদরাসা সুপার আটক

পায়ে শিকল-তালা : শিশুর বাবা ও মাদরাসা সুপার আটক

স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের বাঘারপাড়ার মাদরাসায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা শিশু আবুজারের বাবা ও মাদরাসা সুপারকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঘারপাড়া থানা পুলিশ তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলো শিশু আবুজারের বাবা বাঘারপাড়া উপজেলার সদুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আলীম ও সদুল্লাপুর দড়িলাকুড়ে হাফিজিয়া মাদরাসার সুপার জাহাঙ্গীর আলম। নির্যাতনের শিকার শিশুটি শিকল পড়া অবস্থায় তিনদিন আগে মাগুরায় উদ্ধার হওয়ার পর উচ্চ আদালত রুল জারি করায় এ দুজনকে আটক করা হয়। বাঘারপাড়া থানার পুলিশ জানায়, প্রায় তিন বছর আগে আবুজারকে তার বাবা আবদুল আলীম বাঘারপাড়ার সদুল্লাপুর দড়িলাকুড়ে হাফিজিয়া মাদরাসায় ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে পড়তে না চাওয়ায় মাদরাসার সুপার জাহাঙ্গীর আলম তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। এ সব কারণে মাঝে মধ্যেই মাদরাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ায় বাবার সহযোগিতায় তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। গত ১৭ এপ্রিল রাতে শেকল বাঁধা অবস্থায় শিশুটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে যায়। ওইদিন গভীর রাতে মাগুরা থেকে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করে। পরে তাকে বাঘারপাড়া থানায় পাঠানো হয়।

 

একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম : মারা গেল তিন নবজাতক

স্টাফ রিপোর্টার: রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একসাথে জন্ম নেয়া পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিন নবজাতক মারা গেছে। হাসপাতালের পরিচালক আ.স.ম বরকতুল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টায় দুই ছেলে মারা যায়। এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৩টায় এক মেয়ে মারা যায়। এখন বেঁচে আছে এক ছেলে ও এক মেয়ে। মঙ্গলবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আরজিনা বেগমের (৩২) পাঁচ সন্তানের জন্ম হয়। অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুম মুনিরা ডেইজি জানান, জন্মের পর থেকেই বাচ্চারা রক্তশূন্যতায় ভুগছে। প্রত্যেকের ওজন দেড় থেকে দুই কেজি। অনেক চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত তিনজনকে বাঁচানো যায়নি। অন্য দুই বাচ্চা এখনো সুস্থ থাকলেও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। বিয়ের একযুগ পর ৫ সন্তানের মা হন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কিসামত শেরপুর গ্রামের সিরিকুল শেখের স্ত্রী আরজিনা বেগম।

 

সহকারী সচিব হলেন নন-ক্যাডার ২১ জন

স্টাফ রিপোর্টার: নন-ক্যাডার ক্যাটাগরিতে উপসচিবের ৯টি, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের ৫৭টি এবং সহকারী সচিবের ২১০টি পদ রয়েছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে পদোন্নতি পেয়েছেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মোসাম্মৎ রাশিদা আক্তার, পানি সম্পদের মো. সুরমান আলী, তথ্যের মো. আব্দুস সালাম শেখ, শিল্পের মো. রফিকুল আলম, খাদ্যের মো. নুরুল ইসলাম শেখ, স্বাস্থ্যের মোহা. মনিরুল ইসলাম ও মো. সুলতান মাহমুদ, সড়ক বিভাগের দিলিপ কুমার সরকার এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মো. নাসির উদ্দিন খাঁন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গীতা রাণী ঘোষ, মো. আলাউদ্দিন, মো. আব্দুল খালেক মিঞা এবং ইমান আলীও সহকারী সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের মধ্যে পদোন্নতিপ্রাপ্তরা হলেন- প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মো. লিয়াকত আলী এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মোহাম্মদ আলী-৩ ও খান শাহানুর আলম। প্রাথমিক ও গণশিক্ষার মো. গোলাম মোস্তফা ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মো. আব্দুল কুদ্দুস খাঁন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আছমা উল হোসনা এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মো. গোলাম ফারুক পদোন্নতি পেয়েছেন।