গাংনীতে শিক্ষকের মারধরে ছাত্রী অজ্ঞান

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুস সালামের পিটুনির শিকার এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে শ্রেণিকক্ষের উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের মাঝেই ছাত্রীকে বেধড়ক কিলঘুষিতে জ্ঞান হারায় ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবার মামলার প্রক্রিয়া করছে। বিষয়টি শিশু নির্যাতন আখ্যায়িত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

জানা গেছে, পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী পিংকি খাতুন ইংরেজি ক্লাসের সময় পানি পান করার জন্য বিদ্যালয় চত্বরের টিউবওয়েলে যায়। ক্লাসে ফিরে এলে কোনো কথাবার্তা ছাড়াই তাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম। একপর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কয়েক ঘণ্টা চিকিৎসার পর সে সুস্থ হলে বাড়িতে নেয়া হয়। তবে ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয় থেকে সটকে পড়েন আব্দুস সালাম।

এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। গাংনীর কয়েকজন প্রবীণ শিক্ষক জানান, একজন শিক্ষক অভিভাবক হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের শাসন করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাতে শিক্ষক সুলভ আচরণ থাকতে হবে। আব্দুস সালাম যেভাবে ছাত্রীকে মারধর করেছেন তা শিক্ষককুলের জন্য চরম অসম্মানের। একজন শিক্ষক এভাবে পেটাতে পারেন না।

সারাদেশে যখন শিশু নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে তখন পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ ঘটনায় গাংনীজুড়ে বইছে ক্ষোভ। ছাত্রীর ভাই পলাশ জানান, তার বোনকে হাসপাতালে ভর্তি ও বাড়ি নেয়ার পরও কোনো শিক্ষক সৌজন্যতা দেখাতে আসেননি। এতোবড় একটা অপরাধ করার পরও ওই শিক্ষকের মনে কোনো অনুশোচনা নেই। তাই মামলা করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন। তাকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন প্রশাসনের ওই দুই কর্মকর্তা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আব্দুস সালাম। তিনি বলেছেন, মারধর নয় শাসন করা হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষকের মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।