স্টাফ রিপোর্টার: ২০০৬ সালে বাংলাদেশকে পোলিওমুক্ত ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পোলিও রোগীর অস্তিত্ব থাকায় ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। আর তাই শিশুদের এখন থেকে আরও আধুনিক ও উন্নত বাই-ভ্যালেন্ট বা বি-ওপিভি টিকা খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এতোদিন ট্রাই-ভ্যালেন্ট বা টি-ওপিভি টিকা দেশে প্রচলিত ছিলো। আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে সরকারি বেসরকারি কোনো পর্যায়ে টি-ওপিভি টিকা ব্যবহার হবে না। ২৩ এপ্রিলকে ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয় সুইচ দিবস। সুইচ অর্থ পরিবর্তন করা। জাতীয় সুইচ দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গা নার্র্সিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে টি-ওপিভি টিকার বদলে পোলিওর জন্য বি-ওপিভি টিকা ব্যবহারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বিত টিকাদান প্রকল্পের আঞ্চলিক প্রতিনিধি ডা. সৈয়দ আহসান রিজভী। আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মেজবাহ উল হক, সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন। জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য, সংশ্লিষ্ট টিকাদান কর্মসূচির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
আয়োজকরা জানান, পোলিও রোগের টাইপ-২ ভাইরাস থেকে তৈরি করা হয় টাইপ-২ টিকা। ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব থেকে টাইপ-২ পোলিও নির্মূল হয়েছে। কাজেই ওপিভি টিকায় টাইপ-২ ভাইরাসটি রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে সকল ওপিভি ব্যবহারকারি দেশ সমন্বিতভাবে চলতি এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ থেকে টি-ওপিভি টিকার ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে তার পরিবর্তে বাই-ভ্যালেন্ট টিকা ব্যবহার শুরু করবে। একটি নির্দিষ্ট দিনে মাঠ পর্যায় থেকে সকল টি-ওপিভি প্রত্যাহার করা হবে। এর পরিবর্তে আধুনিক বি-ওপিভি পোলিও প্রতিরোধে ব্যবহার শুরু হবে। একই সাথে জানানো হয়- ২০১৬ সালের ৭ মে পালন করা হবে জাতীয় ভ্যালিডেশন দিবস। দিনব্যাপী কর্মশালার সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ইপিআই’র সুপারিনটেন্ড মো. আশরাফুজ্জামান।