স্টাফ রিপোর্টার: বোবা আলমগীরের (১৮) মুখে ব্যাট দিয়ে মেরে সব ক’টা দাঁতই শুধু ভেঙে দেয়া হয়নি, তার মাড়ির নিচের হাড়ও গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অপরাধ? সে নয়, তার বাবা হামলাকারীদের প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছিলো।গুরুতর অসুস্থ বাকপ্রতিবন্ধি আলমগীরকে নিয়ে তার বাবা চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের মর্তুজাপুরের আব্দুল জলিল এ হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতালে ছুটেও ছেলেকে সুস্থ করতে পারছে না। একদিকে অর্থের অভাব, অন্যদিকে একমাত্র ছেলের প্রাণ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সম্প্রতি। ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার পদে মোরগ প্রার্থী পিশকারের পক্ষে কাজ করেন আব্দুল জলিল। ফুট বল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন ইব্রাহীম মোল্লা। নির্বাচনের পর গত ৫ এপ্রিল বিকেলে গ্রামের ফুটবল খেলার মাঠে ছিলো বাকপ্রতিবন্ধি আলমগীর। একটি মোটরসাইকেলে তরিকুল, কাদের, দেলোয়ার ও যুদ এসে ব্যাট দিয়ে আলমগীরের মুখে নির্মমভাবে আঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে নেয়া হয় হাসপাতালে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও নিতে হয় তাকে। আলমগীরের পিতা আব্দুল জলিল এ অভিযোগ করে বলেন, আমি ওদের প্রতিপক্ষের পক্ষে ভোট করার কারণে আমার প্রতিবন্ধি একমাত্র ছেলেকে মেরে গুরুতর আহত করেছে। এখন অর্থাভাবে চিকিৎসাও ঠিক মতো করাতে পারছি না। রাজশাহী থেকে ফিরিয়ে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রাখা হয়। ফের তাকে রাজশাহীতে নিতে বলেছে ডাক্তার। টাকা পাবো কোথায়? অভাব বড় নিষ্ঠুর, মা-বাবার কান্না বোঝে না। চিকিৎসা করাতে না পেরে চোখের সামনেই বিনা চিকিৎসায় ছেলের মৃত্যুর প্রহর গুণতে হচ্ছে আমাদের। আমি অন্যের পক্ষে ভোট করে যদি অন্যায় করে থাকি ওরা আমাকে মারতো, আমাকে না মেরে ওরা কেন আমার প্রতিবন্ধি ছেলেকে মারলো?