সোনার বার ও মোটরসাইকেলসহ শফিউল আটক

 

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার মুন্সিপুর বিজিবি সদস্যরা চোরচালান বিরোধী সফল অভিযান চালিয়েছে। উপজেলার নাস্তিপুরে অভিযান চালিয়ে সোনার বার ও মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়েছে শফিউল নামের অভিযুক্ত চোরাকারবারীকে। শফিউলের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা হয়েছে মামলা। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ডের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আমির মজিদের নির্দেশে দামুড়হুদার মুন্সিপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার তোতা মিয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুরে। বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ওত পেতে থেকে নাস্তিপুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে সীমান্তের পথে যাওয়ার সময় রেজি. বিহীন কালো রঙের গ্লামার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে বিজিবি। এ সময় মোটরসাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্ঠা করে নাস্তিপুর পশ্চিমপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে শফিউল আলম। বিজিবি ধাওয়া করে শফিউলকে আটক করেছে। তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে মাজা থেকে সেটিং করা অবস্থায় ৬শ ১৯ গ্রাম ওজনের ২টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। বিজিবি যার বাজার মূল্য নির্ধারণ করেছে ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ডের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আমির মজিদ। তিনি স্থানীয়দের উপস্থিতিতে আটককৃত শফিউলের মাজা থেকে সোনার বার উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় হাবিলদার তোতা মিয়া বাদী হয়ে গতকালই দামুড়হুদা থানায় আটককৃত শফিউলসহ অজ্ঞাত আরো ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া হাবিলদার তোতা মিয়া গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঝাঝাডাঙ্গা সড়কের ওপর অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা একটি কালো রঙের ডিসকভারী মোটরসাইকেলসহ আটক করেছিলেন একই ইউনিয়নের নাস্তিপুর বেলে মাঠপাড়ার শামসুল হকের ছেলে আনিসুর রহমান (৩২) ও একই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ইমদাদুল হকের ছেলে কাউসারকে (৩০)। আটককৃতদের দেহ তল্লাশি চালিয়ে অভিনব কৌশলে রাখা ২ কেজি ৪শ গ্রাম ওজনের সোনার মোবাইল ও বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশ থেকে সোনার বিস্কুট ও বার চোরাই পথে ভারতে নিয়ে গহনা তৈরি করে আনা হয়ে থাকে। এ চক্রের সাথে জড়িতরা দীর্ঘদিন ধরেই এ ধান্দা করে আসছে।