চতুর্থ দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন : আলমডাঙ্গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এক মেম্বার নির্বাচিত

 

স্টাফ রিপোর্টার: চতুর্থ দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। বাড়াদী ইউপিতে সাধারণ সদস্য পদে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৪৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৭ মে চতুর্থ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাতটি ইউপিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ২৫৫ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৭১টি, ভোটকক্ষ ৩৯৯টি এবং অস্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে ২টি।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়াদী ইউপিতে পাঁচজন চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান তবারক হোসেন (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র জিয়াউর রহমান (চশমা), মাসুদ পারভেজ (আনারস) এবং শহিদুল ইসলাম (ঘোড়া) প্রতীকে নির্বাচন করছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে শরিফুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাড়াদী ইউপিতে ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৬০ জন।

গাংনী ইউপিতে সাতজন চেয়ারম্যান পদে রকিবুল ইসলাম (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান (ধানের শীষ), শাহাদত হোসেন (মশাল), স্বতন্ত্র আবু তাহের (ঘোড়া), আজহারুল ইসলাম (চশমা), সাইফুল ইসলাম (আনারস) এবং আবুল কালাম (মোটরসাইকেল) প্রতীকে নির্বাচন করছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গাংনী ইউপিতে ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৩৭ জন।

হারদী ইউপিতে চারজন চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম (নৌকা), মিজানুর রহমান (ধানের শীষ), শাহাবুল ইসলাম (মশাল) এবং স্বতন্ত্র সাইফুল ইসলাম (আনারস) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৫ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হারদী ইউপিতে ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৩০৫ জন।

কুমারী ইউপিতে ছয়জন চেয়ারম্যান পদে আবু সাইদ (নৌকা), মহাসিন আলী মণ্ডল (ধানের শীষ), আনিসুজ্জামান (মশাল), স্বতন্ত্র বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের (চশমা), গোলাম মহিউদ্দিন আজাদ (মোটরসাইকেল) এবং সেলিম রেজা (আনারস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কুমারী ইউপিতে ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৭০ জন।

খাদিমপুর ইইপতে নয়জন চেয়ারম্যান পদে আব্দুল হালিম (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজালাল বিশ্বাস (ধানের শীষ), জিনারুল ইসলাম (হাতপাখা), স্বতন্ত্র আব্দুল মোমিন (চশমা), শাহিন আলী (অটোরিকশা), জহুরুল ইসলাম (ঘোড়া), আব্দুল মান্নান (মোটরসাইকেল), তহিদুর রহমান (আনারস) এবং অশ্রু হাসান (টেলিফোন) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খাদিমপুর ইউপিতে ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৫২২ জন।

চিৎলা ইউপিতে চারজন চেয়ারম্যান পদে তোহিদুল ইসলাম ফকা (নৌকা), আব্দুস সালাম বিপ্লব (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র বর্তমান চেয়রম্যান জিল্লুর রহমান (আনারস) এবং মিজানুর রহমান (চশমা) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চিৎলা ইউপিতে ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৫৫ জন।

ভাংবাড়িয়া ইউপিতে পঁচজন চেয়ারম্যান কাওসার আহমেদ বাবলু (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান সানোয়ার হোসেন লাড্ডু (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র আহম্মদ জালাল (আনারস), আশরাফুজ্জামান নান্নু (মোটর সাইকেল) এবং হাসিবুল ইসলাম (ঘোড়া) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাংবাড়িয়া ইউপিতে ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৪০৬ জন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, চতুর্থ দফার নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারি সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তৎপর রয়েছে।