চুয়াডাঙ্গার কোটালীর মরাগাঙে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন

 

স্টাফ রিপোর্টার: আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক বালি উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। যান্ত্রিক মেশিন ব্যবহার করে বালি উত্তোলন করা আইনগত ভাবে সম্পূর্ণ নিসিদ্ধ। এ আইন সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে ইউনিয়নের কোটালী মরাগাঙ থেকে ড্রেজার মেশিন ভিড়িয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে মফি। এসব ভারী যান্ত্রিক মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন নিসিদ্ধ হলেও কোনো নিয়মই মানতে চাইছে না মফির মতো বালিব্যবসায়ীরা। যার ফলে দিন দিন আবাদী জমি ও পরিবেশ পড়ছে হুমকির মুখে।

অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী গ্রামের ভরস মোল্লার ছেলে মফি মরাগাঙের মধ্যে থেকে অবৈধ্যভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ৭০/৮০ ফুট গর্ত করে বালি উত্তোলন করছে। অতি মাত্রায় বালি উত্তোলন করায় আশপাশ এলাকার আবাদী জমি পড়েছে হুমকির মুখে। যেকোনো সময় অপ্রীতিক ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এ সুস্পটভাবে উল্লেখ আছে আবাসিক এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ কি.মিটারের মধ্যে বালি উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। আইন থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় একের পর এক বালি উত্তোলনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বালি উত্তোলনকৃত পুকুরের আশপাশের জমিতে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করা হয়েছে। আর চাষাবাদের জন্য জমিতে দিতে হয় সেচ। অতিমাত্রায় গর্তকরে বালি উত্তলন করা হলে সেচের পানি দ্রুত নিচে নেমে যায়। সেচের জন্য কৃষকের বসানো ডিপ টিউবওয়েল গুলোতে ঠিকমতো পানি ওঠে না। ফলে আবাদী জমিগুলো পড়েছে হুমকির মুখে। মফি আইন কানুনকে তোয়াক্কা না করে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বালি উত্তোলন করছে। ফলে গ্রামবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে মফির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সবকিছু মেনেজ করেই বালি উত্তোলন করছি। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুনউজ্জামান বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি গর্ত করে বালি উত্তোলন করলে জেলজরিমানা করার বিধান রয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকাবাসীর দাবি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ ধরণের বালি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তাহলে একজনের জন্য বাকিরা শতর্ক হবে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।