মহেশপুরে এক গৃহবধূ বিচারের আশায় সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন

 

মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরের কুসুমপুরে এক অসহায় গৃহবধূ তার ২ সন্তান নিয়ে বিচারের আশায় সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেনের সাথে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার উদম মধুপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে লিপি খাতুনের (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে গৃহবধূ লিপি খাতুনকে যৌতুকের দাবিতে ফারুক প্রায়ই নির্যাতন করতো বলে জানা অভিযোগ উঠেছে।

লিপি খাতুন জানান, ঢাকার নারায়ণগঞ্জে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় ফারুকের সাথে তার পরিচয় হয়। আর সেই সম্পর্কের মাধ্যমে প্রায় ৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে লিপির কাছে মোটা অঙ্কের যৌতুকের টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে খুব মারধর করতো। বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানালে ফারুককে যৌতুকের টাকা দেয়। এইভাবে অনেকবার লিপির বাবা ফারুকের হাতে যৌতুক হিসাবে টাকা দিয়েছে। লিপি খাতুন আরো জানান, বর্তমানে তাদের ঘরে ফাহিম (৬) ও নাইম (৩) নামে ২ সন্তান রয়েছে। তার স্বামী ফারুক ও  শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি ২ সন্তান নিয়ে প্রায় ১ মাস যাবত বিচারের আশায় সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। গত ৭ মার্চ দুপুরে মহেশপুর থানায় গেলে ওসি আমিনুল ইসলাম ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ড. আব্দুল মালেক গাজী তাকে খাবার কেনার জন্য কিছু টাকা দেন। অসহায় লিপি খাতুন সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার জন্য সরকারের ওপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও এখনো পর্যন্ত তার কোনো সুরাহ হয়নি।