দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে

 

জহির রায়হান সোহাগ: ‘স্বাধীনতার ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের তাৎপর্য রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং দেশে ও বিদেশে এই যুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ও সমর্থন আদায় করার ক্ষেত্রে এই সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সরকার গঠনের পর থেকে অগণিত মানুষ দেশকে মুক্ত করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।’ গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপরোক্ত মন্তব্য করেন প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিটি পদক্ষেপই যুদ্ধকালীন অপরিহার্য এবং মুক্তিযুদ্ধকে একটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতার অংশ হিসেবে পরিচিতি প্রদানে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো তা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গভীরভাবে পাঠ না করলে স্পষ্ট হবে না। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সমগ্র ইতিহাসের মূল চেতনা উপলব্ধি করতে হবে। এ জন্যে তাদেরকে তথ্য উপাত্তসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পড়তে ও জানতে হবে। তবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার আয়োজন ফলপ্রসূ হবে।

গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প (জেলা) পরিচালক যুগ্ম সচিব মাহমুদ হাসান, প্রকল্প পরিচালক (উপজেলা) মমিন মজিবুল হক সমাজী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সহকারী কমিশনার জেসমিন নাহারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক এসএম ইস্রাফিল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুনউজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ কামরুল হাসান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাফিজ, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মুনিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার তরিকুল ইসলাম, সাব্বির রহমান সানি, সৈয়দা নাফিজ সুলতানা, টুকটুক তালুকদার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, সদর উপজেলা কমান্ডার আশু বাঙালি, জেলা তথ্য অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিকসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব ও মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ সময় উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চুয়াডাঙ্গাকে প্রথম অস্থায়ী রাজধানী স্বীকৃতির দাবি জানালে তিনি বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক ইস্যু। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ।