কোটচাঁদপুরের গ্রামাঞ্চলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে একাধিক সংঘবদ্ধ গ্যাং গ্রুপ

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল কোটচাঁদপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামাঞ্চলে নতুন করে একাধিক গ্যাং গ্রুপ সংগঠিত হয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার পর দলবেঁধে গভীর রাত পর্যন্ত এরা ঘোরাঘুরি করছে। সুযোগ বুঝে ছিনতাই, চাঁদাবাজি এমনকি গৃহকর্তাকে জিম্মি করে ডাকাতির মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছে। রাতে অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে দিনে প্রকাশ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে বীরদর্পে চলাফেরা করছে। ফলে আইন শৃঙ্খলা অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে সচেতন মহল মনে করছে।

গ্রামবাসীরা জানায়, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা এসব গ্যাং গ্রুপ সদস্যদের লালন পালন করছে। উঠতি বয়সী বেকার যুবক ফলে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের শনাক্ত করতে অনেক সময় ধন্দে পড়ছে। গ্রামবাসীরা আরও জানায়, চলতি মাসে একাধিক ডাকাতি, বোমা বিস্ফোরণ, চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গান্না ইউনিয়নরে কাশিমপুর নদীরপাড়ে হিন্দুপাড়া, দহিঝুড়ি, লক্ষ্মীপুর তালতলা মাঠ, আবাসন, জিয়ানগর-কাশিমপুর আমবাগান মাঠ এবং মধুহাটি ইউনিয়নের হাজিডাঙ্গা নীলকুঠির মাঠ ও পাশে মেহগনি বাগান, মির্জাপুর-মহামায়া খাল ও আলোচিত মেহগনি বাগান, কামতায় পুকুর পাড়ের মাঠ, বাজার গোপালপুর পালপাড়া শ্মশান, হিন্দুপাড়ার চিত্রা নদীর পাড়, পরিত্যক্ত মাদরাসা, মামুনশিয়ার বকুলতলা মাঠ, চোরকোল গ্রামের খালের দক্ষিণপাড়, ওয়াড়িয়ার শ্মশান, টেরিতলা স্কুল, বংকিরা রোডের ব্রিজমোড়, দুর্গাপুর বালিকা বিদ্যালয়, সুতি-দুর্গাপুর মাঠের মেহগনি বাগান মাঠ, শ্রীপুর গ্রামের শশ্মান, স্লুইসগেট এলাকায় নিয়ো মিতো আড্ডা দেয় গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা।

এছাড়া কোটচাঁদপুর সীমান্ত কুশনা ইউনিয়নরে তালিনা, জালালপুর, মালোপাড়া, ঘাঘা আশ্রম, আবাসন এলাকা, তালসার নদীর পাড়। দৌড়া ইউনিয়নের সারুটিয়া বিলের মাঠ, কথিত আশ্রম, তালসার সড়কের ব্রিজের নিকট, রুদ্রপুর টাউয়ার মাঠ, চিত্রা নদীর পাড়ে নিয়মিত আড্ডা দিচ্ছে এই সকল গ্যা গ্রুপ। তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না গ্রামবাসী।

অভিযোগকারীরা জানায়, প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পরপরই কাশিমপুর হিন্দুপাড়া ও জালালপুরের মালোখালী পাড়ার নিকট চিত্রা নদীর ঢালানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘোরা ফেরা করে গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা। এখানে স্থানীয় উঠতি বয়সী যুবকসহ বহিরাগতদেরও দেখা যায়। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে বের হলে সংঘবদ্ধ গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা গাঢাকা দেয়।

এ বিষয়ে ঝিনইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।