গাংনীর কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলম হোসাইনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আসন্ন ইউপি নির্বাচন থেকে তাকে দূরে রাখতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আলম হোসাইনসহ তার সমর্থকরা। প্রার্থী হিসেবে সুরক্ষা পাওয়ার দাবি জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন তিনি। মামলার বিষয়টি নিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গত শুক্রবার সকালে কাজিপুর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু নাতেক বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৮ এপ্রিল রাতে চেয়ারম্যান আলম হোসেনের নির্দেশে তার লোকজন আবু নাতেকের মোটরসাইকেল বহরে বোমা হামলা চালায় বলে মামলার আরজিতে বলা হয়েছে। আলম হোসাইনসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে তার গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আবু নাতেকের।

এদিকে মামলার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আলম হোসেনের অভিযোগ, ওই রাতের বোমা বিস্ফোরণের পর গত ১১ এপ্রিল বোমাঘাতে আহত হাড়াভাঙ্গা গ্রামের তাহাজুল ইসলাম ভুটো কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার হয়। গাংনী থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে গরু চুরির বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়। কয়েকজন সঙ্গীসহ সে বোমা বহন করে পীরতলা গ্রামের পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার গড়ুরা গ্রামে গরু চুরি করতে যাচ্ছিলো। মাঠের মধ্যে ড্রেনে বেধে পড়ে গিয়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভুটোর হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়। গরু চুরি ছাড়া কোনো মোটরসাইকেল বহরে হামলার উদ্দেশ্য ছিলো না বলে স্বীকারোক্তি দেয় ভুটো।

গাংনী থানা পুলিশ ও এলাকার বিভিন্ন সূত্র জানায়, আবু নাতেকের মোটরসাইকেল বহর পীরতলা গ্রাম পেরিয়ে যাওয়ার প্রায় ২০-২৫ মিনিট পর ওই সড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মাঠের মধ্যে বোমার বিস্ফারণ ঘটে। এরপরেও কিভাবে গাড়ি বহরে হামলা হতে পারে তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মতর্কা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, মামলা রেকর্ডের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানে। তবে যেকোনো ব্যক্তি থানায় মামলা দিলে তা নেয়া যায় উল্লেখ করে মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা উঠে এসেছে। তবে মামলা রেকর্ডের বিষয়ে পুলিশের ওপরে চাপ ছিলো। তদন্ত করা হচ্ছে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানি না হয় সে বিষয়ে তিনি সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন বলেও জানান তিনি।