কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেয়ায় সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দারসহ অফিসের স্টাফদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শহর আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার দুপুরে শহরের মজমপুর গেটে বঙ্গবন্ধু মুৱ্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী।
সওজসূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট এলাকায় বঙ্গবন্ধুর মুৱ্যালের পাশে সওজ ও বিটিসিএল অফিসের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছিলো শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ মালিথা। ওই জায়গার পাশ দিয়ে পৌরসভার ড্রেনও রয়েছে। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া সওজের ২ স্টাফ ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ ও তার লোকজন স্টাফদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। পরে তারা কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। দুপুরের দিকে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার ঘনটাস্থলে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন ফলব্যবসায়ী জানান, কয়েকদিন ধরেই মজমপুর গেটে আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন ও তার লোকজন দোকান ঘর নির্মাণ করছিলো। দুপুরে গাড়ি নিয়ে সরকারি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এ সময় আলতাফসহ তার লোকজন অফিসারদের মারধর করেন। হামলার পর তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
হামলার শিকার সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার বলেন, সওজ ও বিটিসিএল অফিসের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছিলো। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এ সময় আলতাফ ও তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। খোঁজখবর নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, হামলার সাথে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন মালিথা বলেন, বৈধ ভাবেই দোকান নির্মাণ করছিলাম। কাজ বন্ধ করতে বলায় বাগবিতণ্ডা হয়েছে। মারধর করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগেও একই জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন মালিথা মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রশাসন তা উচ্ছেদ করে দেয়।