মেহেরপুরের গাংনীতে দু পক্ষের সংঘর্ষে আহত আসাদুলের মৃত্যু

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর শিশিরপাড়ায় দু পক্ষের সংঘর্ষে আহত আসাদুল ইসলাম মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত আসাদুল ইসলাম শিশিরপাড়া গ্রামের আব্দুল হকের জামাতা রামকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের খোরশেদ আলী ওরফে কুড়ুনের ছেলে। গতকাল শুক্রবার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। আত্মগোপন করেছে হত্যা মামলার আসামিরা।

জানা গেছে, শিশিরপাড়া গ্রামের আব্দুল হক ও আজিজুল হকের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলো। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন বুধবার দুপুরে ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের কাছে মীমাংসার জন্য আসছিলেন। কাউন্সিলরের কাছে নালিশ পৌঁছানোর আগেই শিশিরপাড়া গ্রামের মোড়ে উভয় পরিবারের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। লাঠিসোটা দিয়ে একে অপরের মাথায় আঘাত করে। এতে ৭ জন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর মধ্যে আব্দুল হকের জামাই আসাদুল ইসলাম গুরুতর অবস্থায় প্রথমে কুষ্টিয়া ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মরা যান।

এদিকে ওই দিন সন্ধ্যায় লাশ রাজশাহী থেকে নেয়া হয় নিহতের পিতার বাড়ি রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। প্রথম স্ত্রী তিন মেয়ে নিয়ে তার পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করেন। শিশিরপাড়া গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ের পর বছরখানেক সেখানে বসবাস করছেন আসাদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাতেই গাংনী থানা পুলিশ মরদেহ থানা হেফাজতে নেয়। গতকাল সকালে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। বিকেলে রামকৃষ্ণপুর গ্রাম্য কবরস্থানে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় পরিবার ও গ্রামে বইছে শোকের ছায়া। আসাদুলের অবস্থা গুরুতর জানতে পেরে আত্মগোপন করে হত্যকাণ্ডের সাথে জড়িতরা। নিহতের স্ত্রীর বড় বোন দেলেহার খাতুন বাদি হয়ে সংঘর্ষের দিন গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজিজুল ইসামের ছেলে কামাল হোসেনকে প্রধান আসামি করে তার পরিবারের আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। আসামি গ্রেফতারে কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে বলেও জানান গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন।