দর্শনা অফিস: দর্শনা হল্টস্টেশন ফেনসিডিল ও চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এ রুটে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ যাত্রীবাহি ট্রেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচল করে থাকে। যে কারণেই হল্টস্টেশন এলাকা গড়ে উঠেছে মাদক ও চোরাকারবারীদের অভয়রণ্যে। দেরিতে হলেও দর্শনা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে হল্টস্টেশন এলাকায় বিজিবির অভিযান রয়েছে অব্যাহত। দর্শনা হল্টস্টেশন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে নিমতলা বিজিবি সদস্যরা ফেনসিডিলসহ কথিত সাংবাদিক রুস্তমকে আটক করেছে। রুস্তমের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা হয়েছে মামলা। গত পরশু বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে দর্শনা নিমতলা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার মীর্জা ওয়াজেদ ও ল্যান্স নায়েক কবির হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালান দর্শনা হল্টস্টেশনে। এ সময় যাত্রীবাহি ট্রেন খুলনা-ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসে ফেনসিডিল তুলছিলো মাদক কারবারীরা। বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্টেশন এলাকায় ব্যাগ ভর্তি ফেনসিডিলসহ আটক করা হয় হল্টস্টেশনপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে কথিত সাংবাদিক রুস্তম আলীকে। ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে ৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। হাবিলদার মীর্জা ওয়াজেদ বাদি হয়ে রুস্তমের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই দিনই। বিজিবির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে আটককৃত রুস্তম আলী নিজেকে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার দর্শনা সহকারী ব্যুরো প্রধান বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে ওই পত্রিকার দর্শনা ব্যুরো প্রধান তা অস্বীকার করে বলেছেন, রুস্তমের সাথে পত্রিকার কোনো সম্পৃক্ততায় নেই। তবে আটককৃত রুস্তম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, সে বিজিবির অভিযানে ছবি তুলতে গিয়ে ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছেন। তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও করেছেন দাবি। রুস্তমের পরিবারের পক্ষ থেকে সঠিক তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে। এদিকে দর্শনায় দিনদিন ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে সাংবাদিক। শুধু কথিত সাংবাদিকেই দর্শনা ছেয়ে যায়নি, প্রেস ও সাংবাদিক লেখা স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেলের সংখ্যা রয়েছে অগণতি। নামধারী সাংবাদিকদের হয়রাণির স্বীকার হচ্ছে অনেকেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে সচেতন মহল।