চুয়াডাঙ্গার মাছেরদাইড়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত ৫ : পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

 

গ্রামবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে নূর জামালসহ তাদের লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ

স্টাফ রিপোর্টার: পহেলা বোশেখের রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মাছেরদাইড় গ্রামে বিস্ফোরিত বোমাঘাতে আহত হয়েছে ৫ জন। এদের মধ্যে আহত নাজমুল ও তোতা একটু বেশি আহত। এরা উভয়ই পাল্টা পাল্টি অভিযোগ করেছে। গ্রামবাসীর পক্ষে গতকাল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঘটনাকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বলে দাবি করেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন হয় গত ৩১ মার্চ। এ ইউনিয়নের মাছেরদাইড় গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে বিশু মিয়া (৪০), সাহেব আলীর ছেলে শামীম (২২) ও জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে তোতা (৩৬) এবং সাতগাড়ী পুরাতনপাড়ার আকমল হোসেনের ছেলে বায়জিতকে (২৫) গতপরশু রাত সোয়া ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তোতার পেটে গুরুতর আহত আর বাকিরা হাল্কা আহত হয়। আহতরা জানান, মাছেরদাইড় গ্রামের বাবুর আলীর বাড়ির গানের অনুষ্ঠানের গিয়েছিলাম। গরমে তার বাড়ির পাশেই টাইগার ক্লাবের পাশের চাতালে বসে ছিলাম। এমন সময় মাছের দাইড় গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে নাজমুল বোমা মারে। আমরা আহত হই। তোতার পেটে বোমার আঘাতে ক্ষত হলেও সেসহ ৪ জনই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এর আনুমানিক দু ঘণ্টার মাথায় হাসপাতালে নেয়া হয় নাজমুলকে (২২)। নাজমুল অভিযোগ করে বলে, আমি বোমা মারিনি। ওরাই আমার লক্ষ্যে করে বোমা মারে। ওদের বোমায় ওরা এবং আমি আহত হই। অথচ আমাকে দোষারোপ করে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে। আমার মাকেও মেরেছে। ওদের কারণেই আমাকে হাসপাতালে পৌঁছুতে দেরি হলো। চিকিৎসা নিয়ে নাজমুল ওই রাতেই নিজ গ্রামে ফেরে।

গতকাল বিকেলে মাছেরদাইড় মাঝেপাড়ার একটি চাতালে গ্রামের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বলা হয় মোমিনপুর ইউপি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলেও বেশ কয়েকদিন ধরে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর কর্মী নূর জালাল, আলী হোসেন, ইমান আলী, ইসমাইল, তাইজেল, তোতাসহ তাদের লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ ঘোরাফেরা করছে। হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নাম ভাঙিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করছে। এরই বহিঃপ্রকাশ গত পরশু জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি ও আবুর দোকান ভাঙচুর করে। বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নাজমুল রক্তাক্ত জখম হয়। নূর জামালের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে বোমা মামলাসহ তার বিরুদ্ধে খামার প্রকল্পের সোয়া ৪ লাখ টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। নূর জামালের পিতার বিরুদ্ধে উত্থাপন করা হয় নানা অভিযোগ। এসব অভিযোগ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়। একই সাথে হুইপেরও বিশেষ দৃষ্টি কামানা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অনুরোধ জানান।