কুষ্টিয়ায় জলমহাল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া জলমহালটি নিয়ে বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহুর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।

এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জলমহাল নিয়ে তালবাড়ীয়া বিল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ও শাপলা মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্তৃক জলমহালটি দরপত্র আহ্বান করা হলে উপযুক্ত মুল্য দিয়েও উপজেলার তালবাড়ীয়া বিল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি জলমহালটি পায়নি। তার পর থেকেই এলাকাতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ১৪২৩-১৪২৫ বাংলা সনে জন্য দরপত্র আহ্বান করে জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি। সেখানে সরকারি ইজারা মুল্য ধার্য্য করা হয় ৫৪ হাজার ৬০০ টাকা। সেই দরপত্রে এই জলমহালটি ইজারা নেয়ার জন্য তালবাড়ীয়া বিল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ৮ লাখ ৫০ হাজার ০০০ টাকার ও শাপলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯৫০ টাকা দরপত্র জমা দেয়। সেখানে দরপত্রে উল্লেখ ছিলো সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি যে সমিতি টাকার দরপত্র দেবে তাকেই জলমহালটি দেয়া হবে। এখানে তালবাড়ীয়া বিল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি শাপলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি চেয়ে অধিক টাকার বেশি দরপত্র আহ্বান করে। তবে বেশি টাকার দরপত্র আহ্বান করা সত্বেও আজ পর্যন্ত এ জলমহালটি পায়নি। এ ব্যাপারে আমি জেলা জলমহাল কমিটির বিরুদ্ধে একটি মামলা করে তালবাড়ীয়া বিল মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। এই মামলার প্রেক্ষিতে খুলনা বিজ্ঞ অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রা.) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি আদেশ প্রদান করেন। বিভাগীয় কমিশনারের এ নির্দেশকে উপেক্ষা করে গত ১৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার জলমহালটি শাপলা মৎসজীবি সমিতির নিকট হস্তান্তর করে দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌফিকুর রহমান ও নির্বাহী কমিশনার (ভূমি) নাহিদা আক্তার। বিভাগীয় কমিশনারের এ নির্দেশকে উপেক্ষা করে কোনো আইনে জলমহালটি শাপলা মৎস্যজীবি সমিতিকে ইজারা দেয়া হয়েছে তা কারো বোধগম্য নয়। এ জলমহাল হস্তান্তর নিয়ে বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।