আলমডাঙ্গার মধুপুর গ্রামের অপহৃত দিনমজুর মুক্তিপণ দিয়ে ৭৪ ঘণ্টার মাথায় বন্দিদশা থেকে মুক্ত

 

কেএ মান্নান: আলমডাঙ্গা জামজামির মধুপুরের অপহৃত দিনমজুর মুকুল হোসেন বন্দিদশা থেকে ফিরো এসেছেন। গত পরশু রাতে মুক্ত হয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।  অপহরণের ১৪ ঘণ্টার মাথায় অপহরকচক্র ০১৯৮০৫৫৬৮৪৯ নং মোবাইলফোন থেকে ছেলে টুটুলের কাছে নগদ ২লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকে। পরিবারের জনৈক সদস্য  (নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক)  জানান এরপর এজেন্ট মারফত শুরু হয় দর কষাকষি। শেষ পর্যন্ত ৭০ হাজারে নেমে আসে তারা। সন্ত্রাসীদের বন্দিদশা থেকে বাড়ি ফেরাতে দিনমজুর পরিবারকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ গুনতে হয়েছে। অবশ্য এ ব্যাপারে পরিবার স্বজনেরা মুখে কুলুপ এটে মুক্তিপণের বিষয়ে কিছু বলছে না। অপহৃত অসুস্থ অবস্থায় হলেও জীবন নিয়ে যে বাড়ি ফিরেছে এতেই পরিবার-স্বজন ও গ্রামবাসীর মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। খবর পেয়ে  আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই আসাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে অপহৃতের বাড়িতে ছুটে আসেন । উপস্থিত গ্রামবাসীর ভিড়ে থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপহৃত তাঁর সুদীর্ঘ ৭৪ ঘণ্টা অনিশ্চিত বন্দিদশার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নের মধুপুর দাশপাড়ার মৃত মজিবর রহমান কসাইয়ের ছেলে ইটভাটা শ্রমিক মুকুল হোসেন (৪৫)। পরিবার জানান, গত ৭ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ২/৩ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাড়িতে ঢুকে মুকুলকে অপহরণ করে।  জামজামি ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই জুলহাস হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সমেত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সন্দেহভাজনদের ধরতে শুরু করেন অভিযান। সে রাতের অভিযানে কাউকেই ধরতে বা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।  জনশ্রুতি ছড়িয়েছে নগদ ৩৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ গুনেই পরিবার সদস্যরা মুক্ত করতে সমর্থ হয়েছে অপহৃত মুকুলকে। তবে অপহৃত মুকুলের সন্তান টুটুল ও তার খালাতো ভাইকে এ মুক্তিপণের টাকা যথাস্থানে হস্তান্তরে গ্রামের আলমসাধু চালক মনোহরকে সন্ধ্যারাতে আলমসাধু নিয়ে ছুটতে হয়েছে ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডুর ৭ ব্রিজ থেকে হলবাজার আবার পিছে ফিরে ভবানীপুর পৌঢ় বটতলা ফের পিছনে টার্ন নিয়ে দৌলতপুর ইউনিয়নের দখলপুর। এখানেও পাত্তা মেলেনি ওই সন্ত্রাসীদের। সেখান থেকে ফিরে ব্যাক সাইডে ভেঁড়াখালী খালপাড়ে তারপর সঠিক ঠিকানা ভাল্কী বাজারে হয়েছে লেনদেন।