গাংনীতে মোটরসাইকেল বহরে ককটেল হামলা নিয়ে ধূম্রজাল

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর কাজিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু নাতেকের মোটরসাইকেল বহরে ককটেল হামলার বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। প্রার্থীর কর্মীদের করা অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি পুলিশের তদন্তে। উপরন্তু ককটেল বিস্ফোরণ নয় বোমার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে বিস্ফোরিত বোমার আলামত ও রক্তের দাগ ভিন্ন কিছু প্রমাণ করে বলে জানান তদন্ত সংশ্লিষ্টরা কয়েকজন পুলিশ অফিসার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বেতবাড়িয়া-পীরতলা মাঠের মধ্যে পীরতলা গ্রামের নবীর উদ্দীনের পাটক্ষেতে বিকট শব্দে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও বিস্ফোরণের কারণ নির্ণয় করতে পারছিলো না গ্রামবাসী। বিস্ফোরণস্থল থেকে মোটরসাইকেল বহর যাওয়া সড়কের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। তাছাড়া বহর চলে যাওয়ার প্রায় ২৫ মিনিট পর বিস্ফোরণ ঘটে।

গতকাল সকালে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরিত বোমার আলামত দেখতে পায়। জালের কাঠি, স্কচটেপ, ব্যাগসহ বোমার স্পিলিন্টার উদ্ধার করে পুলিশ। আলামত দেখে ককটেল নয় বোমার বিস্ফোরণ ছিলো বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

ঘটনাস্থলের পূর্বদিকে পীরতলা দাখিল মাদরাসার পাশের পাকা সড়ক ও দক্ষিণে পীরতলা গ্রামের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। পশ্চিমে কোয়ার্টার কিলোমিটার দূরত্বে আরেকটি সড়ক ও বেতবাড়িয়া গ্রাম। সড়ক থেকে বিস্ফোরণ স্থলের দূরত্ব ও বহর চলে যাওয়ার ২৫ মিনিট পরে বিস্ফোরণ ঘটায় এটি বহরে হামলা হতে পারে না বলে মনে করছে পুলিশ ও এলাকাবাসী।

এদিকে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের পাশাপাশি গাংনী থানা পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত করছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার রহস্য উন্মোচন হতে চলেছে। গাংনী থানার ওসি আকরাম হোসেন তদন্তের বিষয়বস্ত উল্লেখ করে জানান, ডাকাত কিংবা মাদকব্যবসায়ীরা ওই মাঠ দিয়ে বোমা বহন করে যাওয়ার সময় কোনো কারণে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বহনকারীর শরীরে বোমাঘাতে জখম হয়েছে। যার কারণে সেখানে রক্তের দাগ রয়েছে। কে জখম হয়েছে তার খোঁজ নেয়া হচ্ছে। গ্রেফতার হলেও ঘটনার রহস্য উন্মোচন হবে। মোটরসাইকেল বহরে হামলা নয় বলে মনে করছে পুলিশ। তবে যেহেতু নির্বাচনী প্রচারণা চলছে তাই এ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের সতর্ক টহল অব্যহত রয়েছে।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, বিস্ফোরণের কারণ ও বিস্ফোরণ যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। এ ঘটনায় কোনো নিরপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।