দর্শনা রেল ইয়ার্ডে সীমানা পাঁচিল নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে এমপি আলী আজগার টগর

 

 

 

দর্শনা ইয়ার্ডের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে

দর্শনা অফিস: দর্শনা রেল ইয়ার্ড লুটেরা মুক্ত করতে বছর দেড়েক আগে একদিকের সীমানা পাঁচিল নির্মাণ করা হলেও অপরদিকের পাঁচিল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রেল ইয়ার্ডের সীমানা পাঁচিল নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে এমপি টগর বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ রুটে ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে। ফলে সরকারের খাতায় জমা হয় শ শ কোটি টাকার রাজস্ব। আমদানিকৃত পণ্য নিরাপদভাবে রক্ষণা-বেক্ষণের ইয়ার্ড সীমানা পাঁচিল ঘেরা হচ্ছে। ফলে দর্শনা রেল ইয়ার্ডের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। ৭৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ৪ হাজার ফুট লম্বা সীমানা পাঁচিল নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, রেলওয়ের চুয়াডাঙ্গা এইএন শওকত আলী, দর্শনা আন্তর্জাতিক স্টেশন মাস্টার মীর লিয়াকত আলী, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, আ.লীগ নেতা আলী মুনসুর বাবু, আতিয়ার রহমান হাবু, আশরাফুল আলম বাবু, বিল্লাল হোসেন, যুবলীগ নেতা আ. হান্নান ছোট, শেখ আসলাম আলী তোতা, মামুন শাহ প্রমুখ। জানা গেছে, দর্শনা রেল ইয়ার্ডের ঐহিত্য বিলীন করেছে এক শ্রেণির সুবিধাবাদি ও লুটেরাচক্র। এদেরকে নির্মুল করতে পারেনি ইয়ার্ডে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরা। লুটেরাদের কাছে নিরাপত্তাদের হার মানতে হয়েছে বারবার। কখনো হার মানতে হয়েছে টাকার কাছে আবার কখনো কখনো অস্ত্রের ঝনঝনানি শব্দে। এতে নিরাপত্তা বিভাগের বাবুদের পকেট মোটা হলেও অর্থের ভান্ডার খালি হয়েছে আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর। এ রুটে ভারত থেকে মালামাল আমদানি করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আমদানীকারক হয়েছে দেওলিয়া। অনেকেই আমদানিতে আগ্রহ হারিয়েছে। লুটপাট ঠেকাতে সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বারবার পদক্ষেপ নিলেও হয়নি কোনো সুফল। স্থানীয় পুলিশের ভূমিকা গেছে ভেস্তে। দর্শনা রেল ইয়ার্ডে থামেনি লুটপাট, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বন্ধ হয়নি গুলির শব্দ। অরক্ষিত ইয়ার্ডটি বাউন্ডারী পাঁচিল ঢেকে দেয়ার প্রতিশ্র“তি বহুবার হয়েছে উপেক্ষিত। তবুও আশায় বুক বেধেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সিএন্ডএফ এজেন্টগুলো। দর্শনা রেল ইয়ার্ডে লুটপাট বন্ধে দেরিতে হলেও নেকনজর দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। এমপি আলী আজগার টগরের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বছর দেড়েক আগে ইয়ার্ডের একদিকে প্রায় ৪ হাজার ফুট পাঁচিল নির্মাণ করা হয়। বছর দেড়েকের মাথায় গতকাল শুক্রবার ওপর দিকের ৪ হাজার ফুট পাঁচিল নির্মাণের উদ্বোধন করা হলো। এ পাঁচিল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও দর্শনা রেল ইয়ার্ডটি পূর্ণতা পেতে পারে। তবে দর্শনা-লোকনাথপুর সড়ক সংলগ্ন রেলগেট পর্যন্ত পাঁচিল নির্মাল করা হলেও পরিপূর্ণ ঝুকি মুক্ত হতো ইয়ার্ডটি। এদিকে দর্শনা রেল ইয়ার্ড বাউন্ডারী পাঁচিল ঘিরে দেয়ায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চরম সুবিধা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে লুটেরাদের তাণ্ডব। অন্যদিকে সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়েছে, ইয়ার্ড ঘেষা শান্তিনগর, পাঠানপাড়া, মোবারকপাড়া, রেল কলোনীসহ বেশ কয়েকটি মহল্লার শিক্ষার্থীদের। দর্শনা কেরুজ প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে চরম সমস্যার সৃস্টি হয়েছে। প্রায় ২ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে স্কুলে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। যে কারণে দাবি উঠেছে, আনন্দবাজার এলাকা থেকে একটি ওভার ব্রিজ নির্মাণের। বিষয়টি বিবেচনার জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরের নেকনজরের দাবি তোলা হয়েছে।