আলমডাঙ্গা আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি

 

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দু পাশে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা দোকান উচ্ছেদ সংক্রান্ত তদন্তের জন্য চার মাস আগে পত্র  দেয়া  হলেও তা থেমে রয়েছে। কবে হবে তও অনিশ্চিত। তবে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দীনের বিরুদ্ধে বদলিসদহ বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার উপজেলা ভূমি অফিসের বিপরীতে আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের দু ধারে গত বছরের অক্টোবরের দিকে গড়ে তোলা হয় কয়েকটি দোকান। প্রকাশ্যে পাকা স্থাপনা করে দিব্যি ব্যবসা শুরু করলেও বিদ্যালয়ের তরফে তেমন আপত্তি তোলা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কজি অরুণের মৌখিক অনুমোতিতে দোকানগুলো গড়ে তোলা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের তরফে তেমন আপত্তি উত্তাপন না হওযায় তার বিরুদ্ধে যেমন বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়, তেমনই প্রশসনের তরফে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পদেক্ষেপ নেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে গত ৪ মাস আগে জেলা প্রশাসকের পক্ষে জেলা রেভেনিউ ডেপুটি কালেক্টরেট (ভারপ্রাপ্ত) ফারজানা খানম আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবৈধ স্থাপনা বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশের অনুরোধ জানান। এ পত্র ৪ মাস আগে দেয়া হলেও অবৈধ স্থাপনা হিসেবে অভিযুক্ত ৬/৭টি দোকান উচ্ছেদ বিষয়টি ঝুলেই রয়েছে।

অপরদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দীনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। তদন্ত ও তার জবাব নেয়ার পর গত ২৭ মার্চ খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক একেএম গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এতে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক মোসলেম উদ্দীনের ৩ বছরের জন্য জাতীয় বেতন গ্রেড ১০ম থেকে দুধাপ কমিয়ে ১২তম গ্রেডে অবনমিতকরণ করা হয়েছে। পৃথক আদেশ পত্রে মোসলেম উদ্দীনকে আলমডাঙ্গা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শাস্তিমূলক বদলি করে রায়সা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। আলমডাঙ্গা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিদ্যালয়েরই সহকারী শিক্ষক উষা রাণী দত্ত।

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নূর ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দোকান ঘর অবৈধভাবে স্থাপনার কারণেই প্রধান শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। আর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে যতোটুকু শুনেছি তা হলো, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি উপজেলা ভুমি কর্মকর্তাকে উচ্ছেদের বিষযে দায়িত্ব দিয়ে প্রতিবেদনে পেশের  দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।