ফেসবুকে খবর পড়ে দরিদ্র ছাত্র রানার পাশে ডিসি

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ফেসবুকে খবর পড়ে ঝিনাইদহের হতদরিদ্র ছাত্র রানা আহম্মেদের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)। জেলার সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের আনার্স পড়ুয়া রানা আহম্মেদকে রোববার শিক্ষাবৃত্তি ও একটি সেলাইমেশিন দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রানার হাতে ৪ হাজার টাকা ও একটি সেলাইমেশিন তুলে দেন জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার।

এ সময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. আব্দুল আলীম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন ও ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছলেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রানা আহম্মেদ শৈলকুপা ডিএম কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স পড়ছেন। তার বাবা সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদে সামান্য গ্রামপুলিশের চাকরি করেন। দরিদ্র বাবার পক্ষে রানার পড়ালেখা করানো সম্ভব ছিলো না। এ জন্য তিনি প্রতিবেশী দারুল বিশ্বাসের স্ত্রী পারভিনা খাতুনের সেলাইমেশিন ধার করে দর্জির কাজ করতেন। এ নিয়ে ফেসবুকে আমি বংকিরার মানুষ নামে একটি আইডিতে রানার কষ্ট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন রানার পাশে দাঁড়ান।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন জানান, রানাকে ৪ হাজার টাকা ও তার মাকে একটি সেলাইমেশিন দেয়া হয়েছে। আশা করা যায় পরিবারটি এবার একটু মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে। শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া রানা আহম্মেদ জানান, তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আমি বংকিরার মানুষের এডমিনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ফেসবুকে লেখার কারণে দেশ-বিদেশের অনেক মানুষ আমার পড়ার খরচ জানার জন্য ফোন করছে। ইতোমধ্যে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একজন মহিলা আমাকে আরেকটি সেলাইমেশিন দিয়েছেন। দুটি সেলাই মেশিন দিয়ে আমি এবং আমার মা এবার সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনারত পরবো। পাশাপাশি ভালোভাবে পড়ালেখা করতে পারবো বলে জানান রানা।