পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর এখনো খোঁজ মেলেনি সেই দুই শিবির নেতার

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুই নেতাকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর এখনো সন্ধান মেলেনি। জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রকাশ্যে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় শিবিরের কালিগঞ্জ পৌরসভার সভাপতি আবুজর গিফারিকে। তার সন্ধানের দাবিতে পরিবার ও সংগঠনে তৎপরতার মধ্যেই মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে জেলার কে সি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও শিবির নেতা শামীমকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এবং বিবৃতির মাধ্যমে দুই নেতার সন্ধান দাবি করা হলেও বিষয়টি পুলিশ আমলেই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ছাত্রশিবিরের। আটকের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তাদের আদালতে হাজির না করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটির নেতারা।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদের জীবন ধ্বংসের নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে। গত ১৮ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঝিনাইদহ জামতলা মোড় থেকে দুটি মোটরসাইকেলযোগে ৪ জন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয়ে যশোর এমএম কলেজের ছাত্র ও ছাত্রশিবির কালীগঞ্জ পৌরসভার সভাপতি আবুজর গিফারির পথরোধ করে। এরপর তাকে মোটরসাইকেলে তুলে গান্না সড়কের দিকে চলে যায়। পরে তার পরিবার  এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় যোগাযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তার সন্ধানের দাবি জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকেও বিবৃতির মাধ্যমে তার সন্ধান দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের নেতারা বলেন, পুলিশ আবুজর গিফারিকে ফেরত না দিয়ে উল্টো ২৫ মার্চ ঝিনাইদহ কেসি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র শামীম হোসেনকে গ্রেফতার করে। তার গ্রেফতারের কথাও পুলিশ অস্বীকার করছে। তাদের পরিবার ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বার বার তাদের সন্ধান দাবি করা হয়েছে। একই দাবিতে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতো কিছুর পরও পুলিশ তাদের বেআইনিভাবে আটক রেখে অস্বীকার করেছে করছে বলে অভিযোগ করেন সংগঠনটির নেতারা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের এই বেআইনি কাজ মেনে নেয়া যায় না। এমন দায়িত্বহীনতা অব্যাহত থাকলে প্রতিটি শিক্ষার্থী তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়বে। আমরা অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত দুই নেতার সন্ধান ও মুক্তি দাবি করছি। অন্যথায় আমরা উচ্চ আদালতে যেতে বাধ্য হবো।