মসজিদের অভিযুক্ত ইমামকে নিয়ে বিরোধ এবং

 

বানোয়াট অভিযোগ তুলে ভালো মানুষকেও যে বিতর্কিত করা হয় না, হচ্ছে না তাও নয়। হচ্ছে, হয়। সে কারণেই অভিযোগ উত্থাপনের সাথে সাথেই একজনকে দোষী ভাবা বা বলা উচিত নয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে? তার আগেই দোষীরই উচিত তা স্বীকার করে শুধরানোর সুযোগ নেয়া। অন্যথায়? উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া বাঞ্ছনীয় হয়ে দাঁড়ায়। যেমন চুয়াডাঙ্গার কোর্ট জামে মসজিদের পেশ ইমামের ক্ষেত্রে অনিবার্য হয়ে উঠেছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। বিলম্ব মানেই শান্ত সমাজকে অশান্ত করা, নানা শঙ্কার মধ্যে ঠেলে দেয়া।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোর্ট মসজিদের পেশ ইমামকে পুলিশ প্রহরায় বাড়ি ফিরতে হয়েছে। কেন? অভিযোগ উত্থাপনের পর তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে। ধর্মীয় আলোকে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যায় তাও একাধিক মুফতি ইমামের নিকট থেকে জেনেছেন মসজিদের সভাপতি। ইমামকে অপসারণই সঙ্গত বলে যখন সুপারিশ করা হয়েছে তখন কেন এতো বিলম্ব? অভিযোগ প্রমাণের পরও ইমামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় যেমন এলাকার মসুল্লিদের মধ্যে বেড়েছে ক্ষোভ, তেমনই একাংশ মুসল্লি ওই মসজিদে অভিযুক্ত ইমামের পেছনে নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকতে শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলার এক পর্যায়ে গত শুক্রবার রাতে বাদ এশা ইমাম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। পুলিশে খবর দেন। জনরোষের শঙ্কায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ পৌঁছে পুলিশ প্রহরায় ইমামকে বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।

একজন ইমামকে এ অবস্থায় পড়ার আগেই কি নৈতিকতার তাগিদেই সরে দাঁড়ানো উচিত নয়? পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি থাকেই, আছেও। যেহেতু আমাদের সমাজে ইমাম নিযুক্ত করা হয়, মসজিদ পরিচালনা পরিষদও থাকে। চুয়াডাঙ্গা কোর্ট জামে মসজিদেরও পরিচালনা পরিষদ রয়েছে। এ পরিষদ যতো দ্রুত প্রয়োজনীয় এবং বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নেবে ততোই কল্যাণ। যেহেতু সমস্যাটা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে সেহেতু দ্রুত সমাধানই কাম্য। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে কালবিলম্ব মানেই বিভক্তির বিপত্তি শঙ্কা শিয়রে ডেকে আনা।