কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অব্যাহত রয়েছে। এ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সহিসংতায় বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি গবাদি পশু ও অর্থ সম্পদ লুট করা হয়েছে। আর এসব ঘটনায় গত ৩ দিনে আহত হয়ে নারী ও শিশু। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৫৮জন। তবে সহিংতার এ ঘটনা তেমন উল্লেখযোগ্য না বলে পুলিশের দাবি।
গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে দৌলতপুরে ১৪টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচনে পরজিত প্রার্থীরা হয়ে উঠে বেপরোয়া। তারা প্রতিপক্ষ বিজয়ী প্রার্থীদের ওপর হামলা করে। আবার হামলার শিকার হোন পরজিত প্রার্থী ও তার সমর্থকরা বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের দ্বারা। বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি লুট করা হয় গবাদি পশু ও অর্থ-সম্পদ।
উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে মরিচা, আড়িয়া, মথুরাপুর, বোয়ালিয়া, পিয়ারপুর, আদাবাড়িয়া ও চিলমারীসহ অন্তত ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নির্বাচনী সহিংসতার হামলায় আহত হয়ে দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে তুজাম, সামসু প্রধান, আহমদ প্রধান, শাহ আলম, রমজান আলী, সাইফুল, জালাল উদ্দিন, মনির গাজী, লাচেন আলী, মিন্টু গাজী, নজের আলী, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারুল ইসলাম, মুক্তার মণ্ডল, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল বারী, নাজমুল, হযরত আলী, রিনা আক্তার, আলতাবানু, শেফালি খাতুন, শিশু সাইম, শফিকুল, তপন, সেন্টু ও শাহাবুলসহ ৫৮ জন।
তবে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের পাশপাশি এসব সহিংসতা তেমন উল্লেখযাগ্য না বলে দাবি করেছেন দৌলতপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শাহীন। তিনি জানান, তেমন উল্লেখযোগ্য সহিংতার ঘটনা ঘটেনি যা ঘটেছে তা নিয়ন্ত্রণ ও নিরসন করা হয়েছে।