ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় ভিন্ন কৌশলে বাল্যবিয়ে অব্যাহত রয়েছে। নিকাহ রেজির্স্ট্রাররা বিয়ে না পড়ালেও এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় কেউ কেউ শাদা কাগজে বিয়ে পড়িয়ে দিচ্ছেন। বিয়ের নিবন্ধন না করায় পরবর্তীতে কনেপক্ষ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে বেশ কয়েকজন কাজির জেল-জরিমানা হয়েছে। এতে তারা সতর্ক হলেও ইদানিং শাদা কাগজে কিছু কতিপয় ব্যক্তি বিয়ে পড়াচ্ছেন। নিবন্ধন বিহীন বিয়ের শিকার কয়েকজন অভিভাবক এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, বাল্যবিয়ে পড়ানোর ধরন পাল্টেছে। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় কাজি না হয়েও কেউ কেউ শাদা কাগজে বিয়ে পড়াচ্ছেন। অভিযোগকারীরা জানায়, সম্প্রতি কার্পাসডাঙ্গার জয়নাল আবেদীনের মেয়ে সাথী খাতুনের বিয়ে হয়েছে বুইচিতলার টিপু সুলতানের সাথে। কিন্তু বিয়ে নিবন্ধন হয়নি। একই কায়দায় একই এলাকার শাহানুর আলীর মেয়ে শাহানাজের বিয়ে হয়েছে আরামডাঙ্গার আবুল কালামের ছেলে তারিকুল ইসলামের সাথে। বাঘাডাঙ্গার আবু তালেবের ছেলে ডালিম হোসেনের বিয়ে হয়েছে পীরপুরকুল্লার ইব্রাহিমের মেয়ে নারগিছ আরার সাথে। চন্দ্রবাসের নুর হোসেনের মেয়ে ছুম্মা খাতুনের বিয়ে হয়েছে একই গ্রামের বগার ছেলে নুরুর সাথে। এ ধরনের নিবন্ধনহীন বিয়ের কারণে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হচ্ছে। আইনগত সহায়তা নিতে গিয়ে বিয়ের নিবন্ধন না থাকায় তা পারছে না মেয়ে পক্ষের লোকজন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে সচেতন এলাকাবাসীর দাবি।