দামুড়হুদার ভগিরথপুর বাজারের হেলে পড়া শতবর্ষী বটপাকুড় গাছটি অবশেষে কাটা শুরু

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের ভগিরথপুর বাজার মোড়ে হেলেপড়ে ঝুঁকিতে থাকা শতবর্ষী বট-পাকুড় গাছটি অবশেষে কাটা শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন।  গাছটি কাটার মধ্যদিয়ে অনেক প্রাণহানিসহ বড় ধরনর ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে এলাকাবাসী রক্ষা পেয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন।

বিষয়টি নিয়ে গত ৭ মার্চ দৈনিক মাথাভাঙ্গায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে এই প্রতিবেদক দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফরিদুর রহমানের সাথে আলাপ করেন। ইউএনও ঝুঁকিপূর্ণ গাছটি অপসারণের গুরুত্ব বুঝে তা নিয়ে জেলা প্রশাসক ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করেন। যার প্রেক্ষিতে গত ৩১ মার্চ থেকে গাছটি কাটা শুরু হয়।

গতকাল ৬ মার্চ রোববার সকালে দেখা যায় শতবর্ষী বট-পাকুড় গাছটি দক্ষিণ-পূর্বকোণে অনেকাংশে হেলে গেছে। গাছটি উপড়ে যাওয়া ঠেকাতে গাছের দুটি গুঁড়ি দিয়ে ঠেকনা দেয়া হয়েছে।  হেলে যাওয়া অংশের নিচে রয়েছে রয়েছে বেশ কয়েকটি দোকান। তাদের মধ্যে চা বিক্রেতা জালাল উদ্দিন, আমিরুল ইসলাম, আবুল কালাম, আব্দুস সালাম, লিটন হোসেন ও আনারুল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

ভগিরথপুর বাজারের স্টেশনারি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন ওইদিন জানান, বাজারটিতে অন্তত ৫০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বট-পাকুড়গাছটি ভেতের ফোকড় হওয়ায় তা দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিতে রয়েছে। গতবছর গাছটির একটি অংশ ভেঙে পড়ে বেশ কয়েকটি দোকান ও দোকানের মালামালের ক্ষতি হয়। তবে সে দফায় প্রাণহানি না ঘটলেও এবার জানমালের নিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। আরেক ব্যবসায়ী শাহাবুল হক জানিয়েন, গাছটি অপসারণের জন্য এর আগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক, জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু ও সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরকে জানালেও কোনো লাভ হয়নি।

ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক গতকাল শনিবার রাতে জানান, ঝুকিপূর্ণ গাছটি অপসারণ  চেয়ে সর্বশেষ উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভাতে আমিও দাবি উপস্থাপন করেছিলাম। যেভাবেই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত গাছটি কাটার সিদ্ধান্তে ভগিরথপুর বাজারের সকলেই খুশি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফরিদুর রহমান জানান, জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থেই ঝুঁকিপূর্ণ কেটে ফেলা হচ্ছে।