চুয়াডাঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু আজ অংশ নিচ্ছে ১০ হাজার ২২২ জন পরীক্ষাথী

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায়-২০১৬ সালের এইচএসসি, এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা), এইচএসসি (ভোকেশনাল) এবং আলিম পরীক্ষা আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এবার ২০টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ২২২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষায় ৮ হাজার ২৫২ জন, এইচএসসি ভোকেশনালে ১ হাজার ৩৮৮ জন এবং আলিম পরীক্ষায় ৪৪৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ৯৩২ জন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে কেন্দ্রে ৫৩৯ জন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজে কেন্দ্রে ১ হাজার ২৩১ জন এবং বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ৬৫৫ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ৭০৬ জন, আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ৪৫৮ জন এবং এমএস জোহা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ৯১৪ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। দামুড়হুদার দর্শনা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ৫৯০ জন এবং আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ১ হাজার ৬২২ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। জীবননগর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ৬৩১ জন এবং জীবননগর আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৫৬৪ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ১৩৪ জন এইচএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ২৭২ জন, মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক কলেজ কেন্দ্রে ৩৭৮ জন, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ১৩৯ জন এবং জীবননগর আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ২০৯ জন এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। আলিম পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২৩৩ জন, আলমডাঙ্গা আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ৯১ জন এবং জীবননগর আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ১২৪ জন অংশগ্রহণ করবে।

প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করা হবে। সদর উপজেলার কেন্দ্রসমূহে অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট এবং অন্য উপজেলায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করবেন। কেন্দ্রের চারিদিকে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারিকৃত এলাকা লাল পতাকার মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে। কোনো পরীক্ষার্থী মোবাইলফোন সাথে আনতে পারবে না। যদি মোবাইলফোন পাওয়া যায় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে সকল কক্ষে পর্যাপ্ত লাইটিঙের ব্যবস্থাসহ বৈদ্যুতিক পাখা সচল রাখতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে বিদ্যমান সৌচাগারসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে বলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে।