স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ৩ এপ্রিল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, এবার আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এক লাখ ২ হাজার ১৩২ জন ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) ৪ হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। মোট অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন। এবার থেকে এ পরীক্ষায় প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষা এবং পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিটের বিরতি থাকবে। এবার ৮ হাজার ৫৩৩টি প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে ২৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এ বছর মোট ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। তত্ত্বীয় (লিখিত) পরীক্ষা শেষ হবে ৯ জুন এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ জুন।
সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।