মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর মল্লিকপাড়াস্থ সৃজনশীল কোচিং সেন্টারের পরিচালক আলমগীর হোসেন ওরফে আদালতকে কোর্টের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ তাকে কোর্টে হাজির করলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় শিশুটির জবানবন্দী নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার দুপুরের দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আলমগীর হোসেন ওরফে আদালত তার প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ার ৬ বছরের শিশুকন্যাকে চকলেট দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ঘরে ডেকে ধর্ষণের চেষ্টা চলায়। ওই সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আদালতকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ধর্ষক আলমগীর হোসেন ওরফে আদালতকে (৩৫) একমাত্র আসামি করে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন।
অভিযুক্ত কোচিং শিক্ষক আদালতের কি হলো? ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তার সাজা দেয়া হলো কি-না? তার কি শাস্তি হতে পারে- ইত্যাদি প্রশ্ন নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে শহর ও গ্রাম-গঞ্জের চায়ের দোকান থেকে বিভিন্ন স্থানে। এদিকে যুবক ছেলে দিয়ে একই স্থানে একই ঘরে ছেলে ও মেয়েদের কোচিং করা নিয়ে অভিভাবকের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকরা বিচার বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছেন। চড়া কোচিং ফিস দিয়ে তাদের সন্তানরা কোচিঙে কেন পড়তে চাইছে? আবার অনেক টাকা খরচের পরও পরীক্ষায় ভালো ফল আসছে না কেন? এসব নিয়ে চিন্তা-ভাবনায় রয়েছেন অভিভাবকরা। এদিকে ইভটিজিং এবং মেহেরপুর শহরে ভুইফোঁড় গজে ওঠা এসব কোচিং সেন্টারে অভিযান চালানোসহ মেয়ে শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির বিষয়টিকে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না বলে জানালেন মেহেরপুর সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী।
সংশোধনী: গতকাল রোববার প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদে আলমগীর হোসেন ওরফে আদালতকে সৃজনশীল কোচিং সেন্টারের পরিবর্তে ভুলবশত সৃষ্টি কোচিং সেন্টারের পরিচালক বলা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত।