স্টাফ রিপোর্টার: আজ মধ্যরাত থেকে দ্বিতীয় ধাপে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪টিসহ দেশের ৬৪৪ ইউপিতে উত্কণ্ঠার মধ্যদিয়ে শেষ হচ্ছে সবধরনের প্রচার-প্রচারণা। আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় এই ধাপে ৩১টি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ছাড়া অন্য দলের আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট নেয়া হবে।
সড়ক বিভাগে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ মার্চ রাত ১২টা থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বেবিট্যাক্সি, অটোরিকশা, ইজিবাইক, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো প্রভৃতি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ভোটের আগের ৩ দিন থেকে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
২য় ধাপে চুয়াডাঙ্গার ৪ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩১ মার্চ। ইউনিয়নগুলো হলো- চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার আলোকদিয়া, মোমিনপুর, কুতুবপুর ও পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনরে পক্ষ থেকে ইউনিয়নগুলোতে কঠিন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা পুলিশ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ঝুকিপূর্ণ ও সাধারণ ভোটকেন্দ্র শনাক্ত করেছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। সাথে থাকছে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের সমন্বয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স।
জেলা প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলাই ২য় ধাপে আলোকদিয়া, মোমিনপুর, কুতুবপুর ও পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ। মোট ৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের সাথে ২ দলের বিদ্রোহী জামায়াতের (স্বতন্ত্র) প্রার্থীদের সাথে জয়ের জন্য লড়তে হবে। চার ইউনিয়নে এক নারী প্রার্থীসহ ২০ চেয়ারম্যান, ৩৩ সংরক্ষিত সদস্য এবং ১২৪ জন সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এদিকে ভোট অবাধ সূষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। আজ থেকে থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
আলুকদিয়া ইউনিয়নে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার এসিল্যাণ্ড মারুফুল আলমকে, মোমিনপুর ইউনিয়নে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান, কুতুপুর ইউনিয়ননে আলমডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মেদ কামরুল হাসানকে ও পদ্মবিলা ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে এনডিসি মোহা. মুনিবুর রহমানকে। এছাড়াও সাথে ২/৩ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স।
এদিকে জেলা পুলিশসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার ৪ ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র ৪৪টি। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ১৯টি। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ১১টি, সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে ১৪ টি। আলুকদিয়া ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১টি। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র ৬টি। এগুলো হলো- আলুকদিয়া রোমেলা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আকন্দবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলুকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাতিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দৌলদিয়াড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র ঝোড়াঘাটা রেজি. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের নতুন ভবন। সাধারণ ভোট কেন্দ্র ৩টি। এগুলো হলো- পীতাম্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের পুরতান ভবন ও দৌলাতদিয়াড় শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মোমিনপুর ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৯টি। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র ৩টি। এগুলো হলো- নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরিষাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাথুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র ৩টি। এগুলো হলো- বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলমণিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেজুরতলা আদর্শ সমবায় সমিতি (অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র)। সাধারণ ভোট কেন্দ্র ৩টি। এগুলো হলো- বোয়ালমারী পূর্বপাড়া অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র (নিঙগল দোকান সঙলগ্ন), চাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কবিখালী বটতলা সমবায় সমিতি (অস্থায়ী ভোট কেন্দ্র)।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভোট কেন্দ্র ১৫টি। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র ৮টি। এগুলো হলো- বোয়ালিয়া দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিং মূল ভবন, বোয়ালিয়া দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিং মক্তব ভবন, সরোজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মর্তূজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভুলটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দশমী হাফিজীয়া মাদরাসা ও আলিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঝঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র ৩টি। এগুলো হলো- সিন্দুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিন্দুরিয় তহসিল অফিস ভবন ও হাসানহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সাধারণ ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৪টি। এগুলো হলো- দত্তাইল সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুম্ভুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জীবনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র ৯টি। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ সুবদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেজুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র ৩টি। এগুলো হলো- ধুতরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হায়দারপুর আছির উদ্দীন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যারয় । সাধারণ ভোটকেন্দ্র ৪টি। চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুশোডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিরোজখালী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোপিনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।