ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ ও সহিংসতা

 

প্রথম দফার ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরও সহিংসতা লেগেই রয়েছে। ভোট কেমন হলো তা সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী যেমন দেখেছে, তেমনই নির্বাচনোত্তর সহিংসতা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত তফসিলভুক্ত ইউনিয়নগুলোর মধ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪টি। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীতদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র তথা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না, এই উপমহাদেশের নির্বাচনী সংস্কৃতি অনুযায়ী এতদাঞ্চলের যে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে একটু বেশিই ঝামেলা হয়। নির্বাচনে যে কোনো প্রকারে জেতার ক্ষতিকর প্রবণতা কাজ করে প্রার্থীদের মধ্যে। যেনতেনভাবে নয়, জনসমর্থন নিয়েই নির্বাচিত হওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হলে সর্বপ্রথম প্রয়োজন নির্বাচন কমিশনের স্বকীয়তা। আমাদের দেশে তার যথেষ্ট অভাব। ক্ষমতার প্রভাব আর ক্ষমতাসীনকে তোষণ সংস্কৃতি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ দিতে পারে না। সে কারণেই সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

তৃণমূলের স্থানীয় সরকার নির্বাচন সহিংসতামুক্ত করতে হবে। যেহেতু ধাপে ধাপে নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেহেতু প্রথম ধাপের নির্বাচন প্রভাবমুক্ত করতে না পারার ক্ষতিকর প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে পড়তে বাধ্য। পড়ছেও। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ৩১ মার্চের নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ করতে না পারলে নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে কোনো নির্বাচনই প্রশ্নের মুখে পড়তে বাধ্য। তাই পরবর্তী ধাপের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সরকারকে সর্বপ্রকার ব্যবস্থা নেয়া দরকার। স্থানীয় প্রশাসনকে রাখতে হবে নিরপেক্ষ ও চাপমুক্ত। তাছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও বাড়াতে হবে।