সুইফট পদ্ধতি দুর্বল করে রিজার্ভ লুট হয়

স্টাফ রিপোর্টার: শর্ত ভঙ্গ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট (সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টার ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন) পরিকল্পিতভাবে পদ্ধতি দুর্বল করে রাখা হয়। এর ফলে দেশি-বিদেশি চক্রের রিজার্ভ লুট প্রক্রিয়া সহজ হয়। একই সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রযুক্তি বিভাগে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ এবং সুইফট কম্পিউটারের সাথে আরটিজিএস (রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট) সংযোগ দিয়ে হ্যাকিং ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়টি ছিল দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ। আর এর সাথে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, গত এক বছর ধরে সুইফটের বিভিন্ন শর্ত ভঙ্গ করে একে ধীরে ধীরে দুর্বল করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করেন, সুইফট ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম মানার কথা তা মানা হয়নি। এছাড়া সুইফটের সাথে স্থানীয় সার্ভারের সংযোগ দেয়ার মাধ্যমে একে আরও দুর্বল করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন সরকারি তদন্ত কমিটির প্রধান ড. ফরাসউদ্দিন। সিআইডিসহ অন্য তদন্ত সংস্থাগুলোও তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে আগামী সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ কমিটির প্রধান কাজী খলীকুজ্জমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা সাংবাদিকদের বলেন, বৈদেশিক লেনদেন সম্পন্ন করতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক সুইফটের সাথে কাজ করছে। রিজার্ভ থেকে চুরির ঘটনার পর সুইফটের দু’জন কর্মকর্তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি ও ব্যাক অফিস অব দ্য ডিলিং রুমের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এসব কর্মকর্তা সুইফটের প্রকৌশলী। সিস্টেমে কোনো আপগ্রেডেশন লাগবে কি-না তা যাচাই করছেন। এখন আমরা সেগুলো নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।