গণসংযোগকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী রুন্নু ও তার সমর্থকদের হত্যা অপচেষ্টার অভিযোগে প্রতিপক্ষের ৬০/৭০ জনকে আসামি করে এজাহার

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু চেয়ারম্যানের সমর্থকদের হত্যার অপচেষ্টার অভিযোগ তুলে প্রতিপক্ষের ১৮ সমর্থকের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু গতকাল বৃহস্পতিবার রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামে নির্বাচনী গণসংযোগ করছিলেন। এক পর্যায় বিকেল ৫টার দিকে তিয়রবিলার মৃত ঝড়ুর ছেলে ওল্টু, সাইন উদ্দীনের ছেলে মোমিন, আলাল মালিথার ছেলে সাঈদসহ ৬০/৭০ ব্যক্তি ২০/৩০টি মোটরসাইকেলযোগে সেখানে উপস্থিত হন। তারা পিস্তল ও ধারালো রামদা নিয়ে রুন্নু চেয়ারম্যানকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় রুন্নুর সমর্থক খাসকররা গ্রামের রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে বকুল হোসেন ওল্টুকে জিজ্ঞেস করেন- কী জন্যে তারা রুন্নু চেয়ারম্যানকে খুঁজছে। এমন প্রশ্নে রেগে গিয়ে ওল্টু পিস্তল উঁচিয়ে বকুল হোসেনকে তাড়া করে। বকুল প্রাণভয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে রুন্নু চেয়ারম্যানকে ঘটনাটা জানায়। সে সময় গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন। হামলাকারীরা গ্রামবাসীকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়তে যায়। গুলি না ফুটলে তারা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা রুন্নু চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীর, নজরুল, বিল্লাল মেম্বার, আলমগীর ও শহীদুলকে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে তারা থানায় মামলা করতে আলমডাঙ্গায় গেলে শহরের পোস্ট অফিসের সামনে থেকে একই গ্রুপ আগের মতো রুন্নু চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকদের হত্যার অপচেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় বকুল হোসেন বাদী হয়ে গত রাতে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারে ১৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।