মাথাভাঙ্গা মনিটর: সফরকারী ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। গতকাল রোববার জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংলিশদের ৯ উইকেটে পরাজিত করেছে প্রোটিয়া শিবির। ফলে ২-০ তে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জিতলো ডু প্লেসিস শিবির। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৯.৪ ওভারে ১৭১ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
জবাবে ১৪.৪ ওভারেই মাত্র এক উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৭২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ইংলিশ বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান দক্ষিণ আফ্রিকার দু ওপেনার এবিডি ভিলিয়ার্স ও হাশিম আমলা। এ জুটি থেকে আসে ১২৫ রান। ৮.২ ওভারে প্রথম উইকেটের পতন। ২৯ বলে ৭১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে বিদায় নেন ভিলিয়ার্স। এর মধ্যে হাঁকিয়েছেন সমান ছয়টি করে চার ও ছক্কা। জয়ের জন্য বাকি পথটা পাড়ি দিয়েছেন আমলা ও অধিনায়ক ডু প্লেসিস। ৩৮ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন আমলা। তার ইনিংসে ছিলো ৮টি চার ও তিনটি ছক্কার মার। অন্যদিকে দু চারে ২১ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন ডু প্লেসিস। ৩২ বল বাকি থাকতেই জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। যা রীতিমতো বিস্ময়করই। এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে জ্যাসন রয়ের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে রুট (৩৪), মরগান (৩৮) ও বাটলারের (৫৪) ব্যাটে বড় স্কোরের পথেই হাঁটতে থাকে ইংলিশ শিবির। স্কোরটা আরও সমৃদ্ধ হতো। কিন্তু শেষের দিকে মোড়ক লাগায় তা হয়নি। তিন উইকেটে ৬১ রান থেকে দলীয় স্কোর ৪ উইকেটে ১৫৭ রানে দাঁড়ায়। কিন্তু এরপরই ভয়াবহ বিপর্যয়। ১৭১ রানের মধ্যেই পতন বাকি ছয় উইকেট। এর মধ্যে চারজন করেছেন এক রান করে। বিলিংস পাঁচ ও রশিদ দু রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অ্যাবোট তিনটি, রাবাদা ও মরিস দুটি, ইমরান তাহির নেন একটি উইকেট। ঝড়ো ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবিডি ভিলিয়ার্স। এ ম্যাচের মধ্যদিয়ে প্রায় তিন মাসের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করলো ইংল্যান্ড। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ড জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। তবে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে ৩-২ ব্যবধানে। শেষ পর্যন্ত দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো প্রোটিয়া শিবির।