দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যৌন হয়রানির শিকার এক কিশোরী

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ভারত থেকে বৈধ পথে দেশে ফেরা এক কিশোরী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে। অভিযুক্ত দর্শনা জয়নগরের মইদুল ঘটনার পর পরই পালিয়ে গেছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের মেদেনীপুরে অনুষ্ঠিত ঔরশ শেষে কয়েকশ বাংলাদেশি স্থলপথে ভারতের গেদে হয়ে দর্শনা চেকপোস্টে আসেন। তাদের সকলের কাস্টমস, ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতে হতে সন্ধ্যা পার হয়ে যায়। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠিকতা শেষ করে পাবনা জেলার এক কিশোরী (১৫) তার পিতার সাথে বিজিবি চেকপোস্ট সংলগ্ন বটতলায় বিশ্রাম নেয়ার জন্য বসেন। মেয়ের জন্য বিস্কুট কিনতে দোকানে যান পিতা। ততোক্ষণে ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যা ৭টা ছুঁয়েছে। হঠাত চলে যায় বিদ্যুত। এ সুযোগে দর্শনা জয়নগরের আব্দুল গফুরের ছেলে দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের চিহ্নিত দালাল মইদুল ওই কিশোরীকে জাপটে ধরে। অভিযুক্ত মইদুল তাকে টেনে রেললাইনের পাশের ঝোঁপে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চালায়। আক্রান্ত কিশোরীর চিৎকারে ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি সদস্যরা ছুটে যান। পরে পালিয়ে যায় মইদুল।

দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক শেখ মাহবুব হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মাথাভাঙ্গাকে জানান, নিগ্রহের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে তার পিতাকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বারবার অনুরোধ জানানো হয়। মানহানির ভয়ে ওই কিশোরীর পিতা তাতে অপারগতা জানিয়ে মেয়েকে নিয়ে গতরাতেই বাড়ির (পাবনা) উদ্দেশে চলে যান।

পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান বিষয়টি জানার পরপরই অভিযুক্ত মইদুলকে ধরতে পুলিশকে অভিযানে নামার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী কাজ করছে পুলিশ।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির নবনিযুক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আমির মজিদ দর্শনা চেকপোস্টে যৌন হয়রানির খবর পাওয়ার পরপরই কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদেরকে মইদুলকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন।