দেশের টুকরো

এবার ঢাকা-চট্টগ্রাম ২২০ কিলোমিটার উড়াল সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানী ঢাকার সাথে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে ২২০ কিলোমিটার উড়াল সড়ক (এক্সপ্রেসওয়ে) নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে পরিকল্পমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পরিকল্পমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চারলেনের ওপর দিয়ে এ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। ঢাকা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে চট্টগ্রাম গিয়ে নামতে হবে। অন্যথায় ২২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ এক্সপ্রেসওয়ের অন্য কোথাও থামবে না।

মুস্তফা কামাল বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে কোনো শপিং সেন্টার নির্মাণ করা হবে না। মহাসড়ক অনেক সময় হকাররা দখল করে। কিন্তু এখানে কারো দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। পদ্মাসেতুর মতোই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হতে যাচ্ছে। আজকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটির কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

সাব্বির হত্যা ধামাচাপায় ঘুষ : তারেক জিয়ার আবেদনের রায় ১৬ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার: বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে তারেক রহমানসহ কয়েকজনের ঘুষ নেয়ার মামলা বাতিল হবে কি না- সে বিষয়ে রায় ১৬ মার্চ। দুদকের দায়ের করা ওই মামলা বাতিল চেয়ে তারেকসহ চার আসামির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ের এই দিন ঠিক করে দেয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক ছাড়া বাকি তিন আবেদনকারী হলেন- সাবেক চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল। আদালতে তারেকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। সাথে ছিলেন ব্যারিস্টার সানজীদ সিদ্দিকী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। পরে মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, তারেক রহমানের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত ১৬ মার্চ রায়ের দিন রেখেছেন।

 

ঢাকায় নেয়া হচ্ছে তারামন বিবিকে

স্টাফ রিপোর্টার: উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) প্রধান ডা. সাইফুল বারী। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় সোমবার দুপুরে তাকে কুড়িগ্রামের বাড়ি থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সাইফুল বারী বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তারামন বিবিকে আজ বুধবার ঢাকার বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে। একই সমস্যা নিয়ে গত জানুয়ারি মাসে রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নেন তারামন বিবি। গত ৩১ জানুয়ারি তিনি রংপুর থেকে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো। বীর প্রতীক তারামন বিবির আনুষ্ঠানিক নাম তারামন বেগম। কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলার কাচারিপাড়ার এই নারী এক ছেলে ও এক মেয়ের মা।

 

বাংলাদেশে কন্যা শিশুর সংখ্যা ২ কোটি ৯১ লাখ ৮১ হাজার

স্টাফ রিপোর্টার: পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী ২০১৬ সালে বাংলাদেশে শূন্য থেকে ১৭ বছর বয়সী কন্যা শিশুর সংখ্যা ২ কোটি ৯১ লাখ ৮১ হাজার। গতকাল মঙ্গলবার সংসদে জাসদ সদস্য লুৎফা তাহেরের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১ এ প্রস্তুত করা পপুলেশন প্রজেকশন ও বাংলাদেশ : ডাইনামিকস অ্যান্ড টেন্ডস (২০১১-২০১৬) অনুযায়ী প্রাক্কলিত (প্রজেক্ট) ২০১৬ সালে ০-১৭ বছর বয়সী বাংলাদেশে কন্যা শিশুর সংখ্যা ২ কোটি ৯১ লাখ ৮১ হাজার।

 

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে হিন্দু বিবাহ আইন পাস

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আইন অনুমোদন করেছে স্থানীয় আইনসভা। এর আগে দেশটির কোনো প্রদেশেই হিন্দুদের বিয়ের আইনগত ভিত্তি ছিলো না। দেশটির কেদ্রীয় সরকারও অনুরূপ একটি আইন করার কথা বিবেচনা করছে। প্রায় ৩০ লাখ হিন্দুর আবাস সিন্ধু প্রদেশের আইনসভায় গত সোমবার হিন্দু বিয়ের বিলটি পাস হয়। এই আইনের পক্ষের আন্দোলনকারীদের দাবি, আইনটি না থাকার কারণে হিন্দু নারীরা জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, অপহরণ, ধর্ষণ ও বিধবা অধিকারহীনতার মতো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিয়ের স্বীকৃতি দিতে ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইন চালু রয়েছে পাকিস্তানে। তবে হিন্দুদের বিয়ের স্বীকৃতি দিতে এবারই প্রথম কোনো আইন প্রণয়ন করা হলো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশটিতে।

 

অ্যাঙ্গোলায় শতকোটি টাকার হীরার সন্ধান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অ্যাঙ্গোলায় একটি খনি থেকে ৪০৪ ক্যারেটের বিশালাকার একটি হীরকখণ্ড উত্তোলন করা হয়েছে। অস্ট্রেলীয় কোম্পানি উত্তোলিত হীরাটি দৈর্ঘ্যে সাত সেন্টিমিটারেরও বেশি। এর বাজার মূল্য ১৪ দশমিক তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১০ কোটি টাকা। সোমবার লুকাপা হীরা কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানায়, অ্যাঙ্গোলায় পাওয়া হীরাগুলোর মধ্যে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ও বিশ্বের ২৭তম বৃহৎ হীরা। যে খনিতে হীরাটি পাওয়া গেছে সেখান থেকে আরো ৬০টি বিশেষ ধরনের হীরা উত্তোলন করা হয়েছে। খনিটিতে গত বছর আগস্ট থেকে কাজ করছে অস্ট্রেলীয় কোম্পানিটি। প্রায় এক শতাব্দী পর গত বছর বোতসোয়ানায় সর্বোচ্চ এক হাজার ১১১ ক্যারেটের হীরার সন্ধান পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হীরাটি ১৯০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া যায়।

 

যে ছবি দেখে কাঁদলো বিশ্ব বিবেক

মাথাভাঙ্গা মনিটর: নাইজেরিয়ার এক অনাহারী শিশুর ছবিতে কেঁদে উঠেছে বিশ্ব। সামাজিক মাধ্যমে তার হৃদয়বিদারক ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর তার জন্য জমা হয়েছে এক লাখ পাউন্ড বাংলাদেশি টাকায় যা এক কোটি ১২ লাখেরও বেশি। সারাবিশ্বের বিবেককে নাড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি ছবিগুলো তুলে এনেছে দেশটির ভয়াবহ কুসংস্কার সমস্যা। শিশুটিকে বলা হচ্ছে হোপ। তাকে ডাইনি অভিযুক্ত করে পরিত্যাগ করেছিলো গোত্রের মানুষরা। অত্যাচার ও অনাহারে মুমূর্ষু হয়ে পড়ে হোপ। তখন তাকে খুঁজে পান ডেনমার্কের মানবাধিকার কর্মী আনজা রিঙ্গারেন লোভেন। তার ছবি তুলে ছড়িয়ে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার ক্যাপশন ছিল, এভাবেই হাজারো শিশুকে ডাইনি অভিযুক্ত করে পরিত্যাগ করে সবাই। অত্যাচারে ও অনাহারে মৃত্যুর মুখেই ঢলে পড়ে শিশুরা। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর সাহায্যের আবেদন করা হয়। আর মাত্র দু দিনের মধ্যেই তার সাহায্যে উঠে যায় এক লাখ পাউন্ড। তবে হোপ ঠিক কি রোগে আক্রান্ত সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তার মতো অনেক শিশুই দেশটিতে ডাইনি অভিযোগে অত্যাচারের শিকার হয় এবং একটা সময় মৃত্যুবরণ করে।

 

খাঁচা থেকে পালিয়েছে সেই চিতা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের বেঙ্গালুরু শহরের একটি স্কুলে ঢুকে পড়া সেই চিতাবাঘটি এবার খাঁচা থেকে পালিয়েছে। স্কুলের ওই ঘটনার পর বাঘটিকে চিকিৎসার জন্য বানেরঘাটা ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গত রোববার খাঁচা থেকে এটি পালিয়েছে। সেখানকার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। তবে পার্কের পরিচালক সন্তোষ কুমার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। চিতাটি (লেপার্ড) পার্কেই আছে। আর এটি স্বাভাবিক। তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য চিতাটিকে আমরা আরও কয়েক দিন এখানে রেখে দিতে চাই। পার্কের কর্মকর্তারা জানান, বনকর্মীরা চিতাটিকে খাওয়াতে খাঁচায় ঢুকলে এটি পালায়। সম্ভবত কর্মীরা খাঁচার দরজাটি ঠিকভাবে বন্ধ করেনি। বন্যপ্রাণী কর্মকর্তা রবি রালফ বলেন, স্কুলের অদূরেই বন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পথ ভুলে বাঘটি স্কুলে ঢুকে পড়েছিলো। শহরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি চিতাবাঘ দেখা গেছে। ১১ ফেব্রুয়ারি চিতাবাঘের ভয়ে বেঙ্গালুরুর ১৩০টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি শুমারি অনুযায়ী, ভারতে ১২ থেকে ১৪ হাজার চিতাবাঘ আছে।